ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১ জুন ২০১৮

ঝলক

লুটেরা বানর ভারতের আগ্রার ব্যবসায়ী বিজয় বানসাল মেয়েকে নিয়ে সবে ব্যাংকে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। মেয়ের হাতে ছিল একটা পলিথিন ব্যাগ, তার ভেতরে প্রায় দুই লাখ টাকা। সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতেই মেয়ের হাত থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দিল চোর। কয়েক সেকেন্ডের বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠে বাবা ও মেয়ে তাড়া করলেন চোরকে। চেঁচামেচিতে ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছেন ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মীরাও। কিন্তু চোর ততক্ষণে টাকার ব্যাগ নিয়ে ওপরের তলায় পৌঁছে গেছে। তাকে তাড়া করা হচ্ছে বুঝে সে ব্যাগটি ছিড়ে ফেলে অনেকগুলো নোট চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল। বানসাল একতলায় নেমে এসে সেগুলো কুড়িয়ে নিয়ে গুনে দেখলেন প্রায় ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাকি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে হাওয়া হয়েছে সেই লুটেরা। পুলিশও খবর পেয়ে হাজির হল, কিন্তু তারা যে কোন আইনে এই লুটের ঘটনার মামলা দায়ের করবে, তা বুঝে উঠতে পারেনি। কারণ ওই ছিনতাইকারী তো আর মানুষ নয়। একটি বানর। বিজয় বানসাল বলছেন, ‘গোটা ঘটনা এত দ্রুত ঘটে গেল, যে কিছুই করতে পারলাম না। সারাজীবনের সঞ্চয় ছিল ওই টাকাটা। এখন তো আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম।’ গত তিন দিন আগে ওই বানর লুটেরা হামলা করলেও স্থানীয় পুলিশ শুধু ঘটনাটি লিখে রেখেছে। কারণ এই লেজওয়ালা চোরের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা করা হবে, তা বুঝে উঠতে পারছে না তারা। -বিবিসি অবলম্বনে। র‌্যাপ গেয়ে ধর্ম প্রচার কেনিয়ায় এমন একজন খ্রীস্টান যাজক আছেন যিনি শুধু নীরস উপদেশ বিলি করে বেড়ান না, বরং তার যা বলার সেটা বলেন র‌্যাপ গেয়ে। এই ক্যাথলিক যাজককে সবাই চেনে ‘ফাদার সুইট পল’ নামে, আর তিনি দেশজুড়ে বিভিন্ন চার্চে র‌্যাপ সঙ্গীতের মাধ্যমে তার ‘সারমন’ বা উপদেশ দিয়ে থাকেন। অনেকেই তার গানের বিরাট ভক্ত, কিন্তু কেনিয়াতে অনেকেই আবার তার এই অভিনব পদ্ধতিতে ধর্ম প্রচারের বিষয়টা তত পছন্দ করছেন না। খবরে বলা হয়েছে, তাকে আসলে বলা যেতে পারে ‘প্রিস্ট উইথ আ ডিফারেন্স’। তিনি একজন ধর্মযাজক, কিন্তু অন্য রকমের যাজক। ফাদার পল নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘অনেক খ্রীস্টানই আমাকে মাসা নামে ডাকে। আর কমবয়সী ও তরুণীরা আমাকে সুইট পল বলে, কারণ আমি খুব মিষ্টি র‌্যাপ গাই। আমি মিষ্টি কথা বলি, মিষ্টি নাচ করি। ধন্যবাদ, সবাই ভাল থাকুন, কুল থাকুন, আশীর্বাদ বর্ষিত হোক।’ ফাদার পল এমন সব বিষয় নিয়ে র‌্যাপ গান বাঁধেন যেগুলো তরুণ সমাজের জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি বলছেন, এসব নিয়ে গান গাইলে তবেই কিন্তু কমবয়সীরা চার্চে আসতে আকৃষ্ট হবে। কিন্তু তার গান শোনার আকর্ষণে যে ছেলেমেয়েরা চার্চে আসছে তাদের তিনি কী শোনান? এ প্রশ্নের জবাবে এই যাজক বলেন, আমি আমার গানের মাধ্যমে তাদের হার্ড ড্রাগ থেকে দূরে থাকতে বলি। বলি আরও বেশি বেশি করে গাছপালা ও ফুলগাছ লাগাতে বলি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলি, যেটা আমাদের শতাব্দীতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। -বিবিসি অবলম্বনে।
×