ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ড এখন থেকে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১ জুন ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক কমান্ড এখন থেকে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড

ভারতের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়তে থাকায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘প্যাসিফিক কমান্ড’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড’ নামকরণ করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। বুধবার মার্কিন কর্মকর্তারা খবরটি দেন। এই পরিবর্তন বহুলাংশে প্রতীকী বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। -এনডিটিভি। বৃহত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক তৎপরতা দেশটির প্যাসিফিক কমান্ডের অধীনে পরিচালিত। এই অঞ্চলে দায়িত্ব পালনের জন্য কমান্ডের তিন লাখ ৭৫ হাজার সামরিক ও বেসামরিক সদস্য রয়েছে। ভারতও এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেছন, ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে বাড়তে থাকা সংযোগের স্বীকৃতি দিতে আজ আমরা ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের নাম পরিবর্তন করে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড করলাম।’ কমান্ড পরিবর্তনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নতুন নামকরণ করা কমান্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন এ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসন। সাবেক ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের দায়িত্বে থাকা এ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিসকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের বর্ধমান সামরিক প্রাসঙ্গিকতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, নতুন এই নামকরণের মাধ্যমে সেই স্বীকৃতিই এসেছে। তবে এই পরিবর্তনের পরও ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত কোন সম্পদ সরবরাহ করছে না যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একটি সমঝোতা চুক্তি করে, তাতে উভয়ে উভয়ের স্থল, বিমান ও নৌ ঘাঁটি মেরামত ও পুনঃসরবরাহ কাজে ব্যবহার করতে পারবে বলে স্বীকৃত হয়। এর মাধ্যমে উভয় দেশ চীনের বাড়তে থাকা নৌশক্তির মোকাবেলায় প্রতিরক্ষা মিত্রতা গড়ে তোলার দিকে অগ্রসর হয়। যুক্তরাষ্ট্র চায় ভারতের বিশাল প্রতিরক্ষা বাজারে প্রবেশ করতে। দেশটি এরই মধ্যে ভারতের দ্বিতীয় প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয়েছে।
×