ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প-উন বৈঠকের প্রস্তুতি পর্যালোচনা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উঃ কোরিয়ার ভাইস চেয়ারম্যানের আলোচনা

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১ জুন ২০১৮

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উঃ কোরিয়ার ভাইস চেয়ারম্যানের আলোচনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তুতির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বুধবার নিউইয়র্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সঙ্গে বৈঠক করেছেন উত্তরের শীর্ষ নেতার ‘ডানহাত’ খ্যাত ভাইস চেয়ারম্যান জেনারেল কিম ইয়ং চোল। তিনি চীন থেকে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। -বিবিসি। ২০০০ সালের পর দুই দশকের মধ্যে চোলই হলেন যুক্তরাষ্ট্র সফর করা উল্টর কোরিয়ার শীর্ষ উর্ধতন কর্মকর্তা। সপ্তাহখানেক আগে ট্রাম্প উল্টর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে ১২ জুনের শীর্ষ বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন, কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ং পূর্ব নির্ধারিত সময়েই ওই বৈঠক আয়োজনের জন্য নতুন করে প্রস্তুতি করেছে। বৈঠক নিয়ে কথা বলতেই উত্তরের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান চোলের এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার পম্পেও ও চোল পৃথকভাবে জাতিসংঘ সদরদফতরের কাছে একটি ভবনে যান। সেখান থেকে বের হয়ে পরে পম্পেও আমেরিকান বিফ থাকায় রাতের খাবার ‘সুস্বাদু’ ছিল বলে মন্তব্য করেন। চোলের সঙ্গে বৈঠকের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্টর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে, তা গুছিয়ে নিচ্ছিলেন। ট্রাম্প ও উনের মধ্যে পূর্ব ঘোষিত বৈঠক নিয়ে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পানমুনজমে রবিবার থেকে ধারাবাহিক আলোচনা চালাচ্ছেন উল্টর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী চোয়ে সন-হুই ও দক্ষিণে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত সুং কিম। এ দিকে জো হাগিনের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদল সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরীয় নেতার চীফ অব স্টাফ কিম চাং-সনের সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনের খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া বৈঠক নিয়ে কথা বলতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ং যাওয়ার কথা। লাভরভ বুধবার প্রথমবারের মতো ফোনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সঙ্গে কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার দুই নেতা আগামী মাসেই বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স। তিনি বলেন ‘প্রেসিডেন্ট যেমনটা বলেছেন, যদি এটা (বৈঠক) হয়, আমরা অবশ্যই প্রস্তুত বলেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ‘লিবিয়ার পথ অনুসরণ করা হতে পারে বলার পর চলতি মাসের মাঝামাঝি কড়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় পিয়ংইয়ং। ২০০৩ সালে লিবিয়া পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচী ত্যাগ করার অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কওে নেয়। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও পুনঃস্থাপিত হয়। ৮ বছর পর ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহী ও আধাসামরিক গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ার পর গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। লিবিয়া মডেলের উদাহরণ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে আতঙ্কিত করতে পারে বলে তখনই ধারণা করেছিলেন পর্যবেক্ষকরা। পিয়ংইয়ংয়ের কড়া প্রতিক্রিয়ার পাল্টায় বৈঠক থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। পরে দুইপক্ষই বৈঠক আয়োজনে নতুন করে আগ্রহ দেখালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বলে ইঙ্গিত দেন। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রস্তাবিত এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হলে তা হবে উত্তর কোরিয়ার কোন শীর্ষ নেতার সঙ্গে দায়িত্বে থাকা কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম বৈঠক।
×