ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় মাদক ডনরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৩১ মে ২০১৮

কলাপাড়ায় মাদক ডনরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩০ মে ॥ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে এ কয়দিনে কলাপাড়ায় অন্তত ৩২ জন মাদক সেবন ও সরবরাহকারী গ্রেফতার হলেও ধরা পড়েনি কোন গডফাদার। ফলে পটুয়াখালীর সাগরপাড়ের জনপদ কলাপাড়ায় মাদকের ভয়াল আগ্রাসনে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা শঙ্কিত রয়েছেন। ইয়াবা-গাঁজার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়া কলাপাড়ার শহর কিংবা গ্রাম এমন কোন জনপদ নেই যেখানে মাদকের ছোবল হানা দেয়নি। মাদকের অর্থ সংগ্রহে বাড়ছে ছিনতাইসহ চাঁদাবাজি। পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর অভিযানে ইতোপূর্বেও মাসে প্রায় অর্ধশত বিক্রেতাসহ সেবনকারী গ্রেফতার হয়। কিন্তু এর নিয়ন্ত্রক গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় মাদকের ছোবল থামছে না। মাদকের ভয়াল গ্রাস রোধে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জোরাল বক্তব্য দিচ্ছেন। সড়কের পাশাপাশি বর্তমানে ইয়াবাসহ মাদকের নতুন রুট হচ্ছে সাগরপথ। আলীপুর-মহীপুরে মাছ ধরার ট্রলারে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার একটি সংঘবদ্ধচক্র স্থানীয় গডফাদারদের প্রত্যক্ষ শেল্টারে ইয়াবার কারবার চলছে। মাদক নির্মূলে পেশাদার চোলাইমদ উৎপাদনকারী রাখাইনচক্রের মহিলাসহ চারজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করে। পূর্ণ সফলতা না এলেও এই অভিযানে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। সম্প্রতি আলীপুর বন্দর থেকে ৩৯৫০ ইয়াবাসহ ফাতেমা আক্তার সানজিদাকে (২৭) পুলিশ গ্রেফতার করার পরে এ তথ্য বেরিয়ে আসছে। ফাতেমার দেয়া তথ্যমতে ইয়াবা পাচারের হোতা চিটাগাংয়ের এক ট্রলার মাঝি আবুল হোসেন। আবুল হোসেন ও ফাতেমার বাড়ি কক্সবাজার হলেও তারা দীর্ঘদিন আলীপুর বন্দরে বসবাস করে আসছে। ফাতেমার স্বামীর নাম সৈয়দ হোসেন। তারা আলীপুরের ব্যবসায়ী পান্না মোল্লার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছে। সৈয়দ হোসেন একটি বোটের জেলে। পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার হাতে এ পর্যন্ত যারা আটক হয়ে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রেতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তারা হচ্ছে লতাচাপলীর খাজুরা গ্রামের হাসান ও তার বাবা হাবিব মুন্সী। নয়াকাটা গ্রামের মামুন। আলীপুরের ইয়াবা স¤্রাজ্ঞী ফাতেমা। ভাড়াটে হোন্ডাচালক ইউসুফ ও তার বাবা কাশেম মাঝি। মহিপুরের বিপিনপুর গ্রামের ইসমাইল সিকদার। ফুলতলী বাজারের অপু ও সজল। কমরপুরের ইমরান বয়াতি। নজিবপুরের তানভির। কলাপাড়া পৌরসভার রহমতপুরের রিয়ামনি ও আব্দুর রাজ্জাক দম্পতি। কুয়াকাটার শাহীন আলম, বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার নাসির ও আমির ঘরামি। লালুয়ার কলাপাড়ার মন্নান মুন্সী। হাড়িপাড়ার রাখাইন নিপু। মিঠাগঞ্জের রোজিনা বেগম ও ফেরদৌস দম্পতি। কলাপাড়ার অটোচালক জাহাঙ্গীর। মহিপুরের সুমন হাওলাদার। মরিচবুনিয়ার ইলিয়াস তালুকদার। চম্পাপুরের রুবেল হাওলাদার।
×