ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি দেড় মাস পর উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৯:০২, ৩১ মে ২০১৮

সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি দেড় মাস পর উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক ॥ সুন্দরবনের ভেতরে কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এমভি বিলাস দেড় মাস পরে কেটে দুই খণ্ড করে টেনে তোলা হয়েছে। বুধবার রাতে মংলা বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে তুলে উপকূলের কাইনমারী এলাকায় রাখা হয়েছে জাহাজটিকে। কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাহারা এন্টারপ্রাইজ কয়লাবোঝাই ওই জাহাজটি তুলতে মেসার্স হোসেন স্যালভেজকে নিয়োগ দেয়। গত ১৫ এপ্রিল মংলা বন্দর থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে হারবাড়িয়া ৫ নাম্বার এ্যাংকরে ডুবোচরে আটকে কাত হয়ে ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ওই জাহাজটি ডুবে যায়। এই ঘটনার বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুন্দরবনের ভেতরে কয়লাডুবির ঘটনায় তখন পরিবেশবিদরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মেসার্স হোসেন স্যালভেজের মালিক মো. সোহরাব হোসেন মোল্লা বলেন, “শুরুতে আমরা কয়লা কয়লা তুলে জাহাজটি তা হালকা করে টেনে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। প্রবল জোয়ারের কারণেও উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছিল। “এরপর চট্টগ্রামের দুটি বার্জ এনে জাহাজটির মাঝ থেকে কেটে ফেলি। পরে আমরা সেই জাহাজটিকে টেনে মংলার কাইনমারী খালের মুখে এনে রেখেছি।” ৩১ জন শ্রমিক নিয়ে ছোট আকারের এই জাহাজটি তোলা হয়েছে। সাহারা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক (অপারেশন্স) মো. লালন হাওলাদার বলেন, “জাহাজটির সামান্য কিছু কয়লা ভেসে গেছে। এতে সুন্দরবনের তেমন ক্ষতি হবে না।” এদিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান বলেন, “এই ঘটনার পর আমাদের দায়ের করা ক্ষতিপূরণের মামলা তদন্তাধীন। খুব শিগগির আমরা ক্ষতির পরিমাণ জানিয়ে আদালতে যাব।” মংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, জাহাজডুবির ঘটনায় বনবিভাগ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও লাইটার জাহাজ মালিক পক্ষের থানায় করা মামলা ও সাধারণ ডায়েরির ঘটনায় তদন্ত চলছে।
×