ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইসিডিডিআরবিতে ঘণ্টায় ১৯ নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৩১ মে ২০১৮

আইসিডিডিআরবিতে ঘণ্টায় ১৯ নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তীব্র গরমে রাজধানীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। নগরীর আইসিডিডিআরবিতে গড়ে ঘণ্টায় ১৯ নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। যা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে দ্বিগুণ। রাজধানীর অন্য সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও ভর্তি হচ্ছে নতুন ডায়রিয়া রোগী। ভ্যাপসা গরম অব্যাহত থাকলে নতুন নতুন ডায়ারিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়রিয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছর এপ্রিল থেকে বাড়তে থাকে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় তা দেখা গেছে। উচ্চ তাপমাত্রা, জীবাণুযুক্ত পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সঙ্গে ডায়রিয়ার বেশ সম্পর্ক রয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রায় ডায়রিয়ার জীবাণু যেন জীবন খুঁজে পায়। এ পরিবেশে ডায়রিয়ার জীবাণুর দ্রুত বিস্তার ঘটে। আর দূষিত পানি ও বাসি খাবার খেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হবেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, আইসিডিডিআরবিতে চলতি মাসের শুরু থেকেই নতুন করে আক্রান্ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা সাড়ে চারশ’ এর নিচে নামছে না। নতুন রোগী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে নগরীর আইসিডিডিআরবির (কলেরা হাসপাতাল) চিত্র। চিকিৎসক, নার্স ও ভল্যুন্টিয়ারদের কাটছে ব্যস্ত সময়। মূল গেট পার হলেই জরুরী বিভাগের সামনে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬টি ট্রলি ও হুইল চেয়ার। রোগী আসা মাত্রই ট্রলিতে করে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছেন কর্মচারীরা। এপ্রিলের শেষের দিক থেকেই সকলের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। আসা মাত্রই রোগী ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেরি না করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। আগত রোগীদের অধিকাংশই শিশু বলে জানান চিকিৎসকরা। ওয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে, খালি বেড নেই। নতুন ভর্তি ও বিদায়ী রোগীর মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অনেক সময় নতুন ভর্তি তুলনায় বিদায়ী রোগীর সংখ্যা কমে যায়। তবে নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রবিবার সকালে বাড্ডার ২৩/ বি হোল্ডিংয়ের বাসিন্দা ইয়াকুব আলীর ৮ বছরের শিশু সন্তান বুলবুলকে আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি করা হয়। ইয়াকুব আলী জনকণ্ঠকে জানান, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। পাতলা পায়খানা শুরু হওয়ার একদিন পর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ পর্যন্ত দেয়া হয়েছে ৫টি আইভি স্যালাইন। শিশুটির অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। ওয়াসার দুর্গন্ধযুক্ত পানি খাওয়ার কারণেই তার সন্তান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে বলে মনে করেন ইয়াকুব আলী। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জনকণ্ঠকে জানান, প্রতি বছরই এপ্রিলে তাপমাত্রা বাড়লে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বেড়ে যায়। নতুন করে আক্রান্ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রা ও জীবাণুযুক্ত পানি পান করার কারণে এমনটি হতে পারে। তাপমাত্রা না কমলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
×