ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিষ্কাশনে বাধা

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৩১ মে ২০১৮

নিষ্কাশনে বাধা

বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা। প্রায় দুই কোটি মানুষের বাস। প্রতিদিন এর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বর্তমানে গ্রামের মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। মানুষ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তার মধ্যে রাজধানী ঢাকার মানুষের যেটা প্রধানতম সমস্যা সেটা হলো রাস্তায় জলাবদ্ধতা। এই সমস্যা দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই এই শহরের পথ দুই-তৃতীয়াংশ তলিয়ে যায়। এর রয়েছে নানা কারণ। এই শহরের চারপাশে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতালক্ষ্যা প্রভৃতি নদীগুলো ক্রমান্বয়ে ভরাট করে ফেলেছে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা। এই বিশাল জনসংখ্যার এই শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এই নগরীর ৬৫টি খাল এক সময়ে পানি নিষ্কাশনের বিশেষ ভূমিকা রাখতো। কিন্তু রাজধানীর এই খালগুলো এখন খুঁজে পাওয়া কঠিন। সবগুলোই প্রায় চলে গেছে দখলদারদের হাতে। যে কয়টা ছিল তাও ভরাট হওয়ার পথে। এই শহরের প্রাকৃতিক জলাধারগুলো ভরাট করে আবাসন গড়ে তোলায় এই শহরের পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়েছে। এই শহরের প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী আজ দূষণে জর্জরিত। নদীর আশপাশে বাড়ি আর দোকান তৈরি করে দখলে নিয়েছে। ফলশ্রুতিতে নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দূষণে নদীর তলদেশে নানা বর্জ্য জমে এর গভীরতা কমিয়েছে। ফলে পানির প্রবাহ বাড়লেই তা উপচে পড়ে। এই শহরে সেবাদানকারী সংস্থাগুলো উন্নয়ন কাজে কোন সমন্বয় না থাকায় সারা বছরই সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি চলতেই থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলাই যায়Ñ ওয়াসা স্যুয়ারেজ নির্মাণের জন্য একটি সড়ক খোঁড়া হলো, সেই কাজ শেষ হতে না হতেই আবার খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করল। এমন কাজ চলায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই শহরে চলছে পলিথিনের অবাধ ব্যবহার। পলিথিন ব্যবহার না করার আইন থাকলে ও তার সামান্যটুকুও মানা হয় না। ফলে দুই কোটি মানুষের এই শহরে প্রতিদিন যে বর্জ্য তৈরি হয় তার অধিকাংশ জুড়েই থাকে পলিথিন। এসব পলিথিন পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ করে দেয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে
×