ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বুড়িগঙ্গা তীরের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৩০ মে ২০১৮

বুড়িগঙ্গা তীরের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলার মুন্সিখোলা এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে উঠা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কাঁচা-পাকা ও আধাপাকা স্থাপনা ও বালু ফেলে নদীর তীর ভরাট করা অংশ মাটি খনন করে উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় বেশ কিছু পরিমাণ বালু পাথর জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হয়। বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তির নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাজধানীর সদরঘাট নদী বন্দরের যুগ্মপরিচালক আরিফ উদ্দিন, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুর কাদেরসহ বিআইডব্লিউটিএ’র উর্ধতন কর্মকর্তারা। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্যের উপস্থিতিতে বিআইডব্লিউটিএ’র দুটি এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি খনন করে এবং টিনশেড, আধাপাকা, পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। জানা গেছে, সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদকারী দল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের মুন্সিখোলা এলাকায় নদী থেকে মালামাল উঠানামা করার জন্য নির্মিত বেশ কয়েকটি জেটি উচ্ছেদ করে দেয়। পরে মুন্সিখোলা পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন ওয়াকওয়ের উত্তরপাশে নদী তীরে গাছের খুুঁটি গেড়ে বালু ইট, সুরকি ফেলে ভরাট করে দখল করা প্রায় ১৫ শতাংশ জমি ভেকু দিয়ে খনন করে মাটি অপসারণ করা হয়। পরে নদীর সীমানা পিলার ভেতরে ঢুকে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় ওয়াহিদ এ্যান্ড ব্রাদার্সের পাঁচফুট প্রশস্ত এবং দেড় শ’ ফুট লম্বা স্থাপনা ভেকু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া দুটি টিনশেড স্থাপনা ও একটি ইটের দেয়াল ভেঙ্গে দেয়া হয়। পরে পাশের আরও কয়েকটি স্থাপনা ও মাটি ভরাট করায় তা খনন করে মাটি অপসারণ করা হয়। পরে পাগলা বাজার এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা রশিদ এন্টারপ্রাইজের দখলে থাকা একটি জেটি, ভরাটকৃত মাটি অপসারণ ও কয়েটি টিনশেড স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম বানু শান্তি জানান, পাগলা মুন্সিখোলা এলাকায় ওয়াকওয়ের পরে নদীর তীর দখল করে বালু পাথরের ব্যবসা করে আসছিল। সেগুলো উচ্ছেদ কওে বেশ কিছু পরিমাণ বালু পাথর জব্দ করা হয়। সেগুলো সাড়ে তিনলাখ টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নদীর সীমানা পিলারের ভেতরে নির্মিত পাকা, আধাপাকা, টিনশেডসহ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযানে যে সব স্থাপনা পড়বে তা উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে জেল জরিমানাও করা হচ্ছে।
×