ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে সরগরম সিট কাপড়ের দোকান

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৩০ মে ২০১৮

যশোরে সরগরম সিট কাপড়ের দোকান

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কেতাদুরস্ত পোশাকের আবরণে নিজেকে মুড়িয়ে উৎসবে মাততে ভালবাসেন সব বয়সী বাঙালী। আর তাই ঈদের মতো বড় উৎসব আসলে মাতামাতির সীমা-পরিসীমা থাকে না। এ জন্য রোজার শুরু থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে যশোর শহরের সিট কাপড়ের দোকান। যারা নিজেদের পছন্দ মাফিক ডিজাইন, প্রিন্ট ও কালারের পোশাক পরতে ভালবাসেন, মূলত তাদের ঝোঁক সবসময়ই থাকে সিট কাপড়ের দিকে। ঈদের আগেভাগেই যুতসই কাপড় কিনে সোজা চলে যান দর্জির দোকানে। যশোর শহরের বিভিন্ন মার্কেট পাড়ার ছোটবড় সব ধরনের বিপণি ঘুরে ফিরে দেখা গেছে, অন্যান্য পোশাকের দোকানের তুলনায় সিট কাপড়ের দোকানে বেচাকেনায় উত্তাপ ছড়িয়েছে। ঢের বেচাবিক্রি বেড়েছে সালোয়ার কামিজ, থ্রি-পিস, শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবির কাপড়ের দোকানে। এবারের ঈদ বাজারের হালহকিকত জানতে যশোর শহরের বিভিন্ন সিট কাপড়ের দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেছে, হাল ফ্যাশানের পাশাপাশি আরাম ও স্বস্তির বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাক পছন্দ করছেন অনেকে। যেহেতু গরম ও বর্ষার মধ্যে ঈদ আসছে। সেহেতু পোশাকে আরামের কথা ভেবে অনেকে সুতির ভেতর নিজেদের পছন্দ খুঁজে নিতে চাইছেন। আবার অনেকের ঈদের পোশাকটা জমকালো হওয়া চাই। তাদের ভাবখানা এমন যেন রোদ গরমে ‘কুছ পরোয়া নেই’। জানা গেছে, এবারের ঈদ বাজারে সুতির পাশাপাশি হরেক রকমের পোশাকের কাপড়ে বাজার ছেয়ে গেছে। নেটের ওপর বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ, ভেলভেটের ওপর রঙবেরঙের সুতোর কাজ ও পিওর জর্জেটের সংগ্রহ রয়েছে বিক্রেতাদের কাছে। এসবের মধ্যে নেটের ওপর কাজ করা কাপড়ের চাহিদা তুলনামূলক বেশি বলে জানালেন, শহরের বড় বাজার এলাকার সিট কাপড় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচএম ক্লথ স্টোরের বিক্রয়কর্মী রিংকু হোসেন। তিনি বলেন, ‘হাতের কাজ করা, পুঁতি বসানো নেটের বাজার এবার সবচে বেশি। সবার নজর কাড়ছে এটি’। ঈদ বাজারের বেচাকেনা নিয়ে আলাপ করা হলে দোকানটির স্বত্বাধিকারী রাফিউল আলম বাবু বলেন, বেচাকেনা ভালই চলছে। জমে উঠছে ঈদের বাজার। বড় বাজার এলাকায় সিট সম্ভার নামে একটি দোকানে আলাপ হয় নওরিন মাসুদ ও তামান্না নাসরিন নামে দু’জন ক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, একটা গাউন ও কুর্তা বানানোর জন্য কাপড় পছন্দ করছি। কুর্তার জন্য সুতির ভেতর কিছু একটা কিনব। আর ভেলভেট নয়ত নেটের ওপর কাজ করা কাপড় নেব গাউন তৈরির জন্য।
×