ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আসন বণ্টন আলোচনা না হওয়ায় শরিকরা বিএনপির ওপর নাখোশ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৩০ মে ২০১৮

আসন বণ্টন আলোচনা না হওয়ায় শরিকরা বিএনপির ওপর নাখোশ

শরীফুল ইসলাম ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন বণ্টন নিয়ে এখন পর্যন্ত আলোচনা না হওয়ায় বিএনপির প্রতি জোটের শরিক দলগুলো নাখোশ। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় সরকারী দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে সংসদীয় আসন বণ্টন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করলেও বিএনপি তা করছে না। ২০ দলীয় জোটের শরিকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বার বার তাগিদ দেয়া হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কিছুই বলা হচ্ছে না। এ কারণে শরিক দলের নেতারা ক্ষুব্ধ। জানা যায়, আসন বণ্টন নিয়ে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে কোন ধরনের আলাপ-আলোচনা না করলেও বিএনপি এক জরিপে প্রতিটি আসনেই নিজ দলের সম্ভাব্য একটি প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছে। তবে এ তালিকায় অধিকাংশ আসনেই একাধিক প্রার্থীর নাম রাখা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হলে এ তালিকা দেখে এবং লন্ডন প্রবাসী ছেলে তারেক রহমান ও দলের অন্য সিনিয়র নেতাদের মতামত নিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করবে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে নির্বাচনকালীন পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। সূত্র মতে, বিএনপি এখনও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া-না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেনি। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি কি হয় এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন সমঝোতা হয় কি না তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে বিএনপি। কারণ খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে এবং তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে বিএনপি শেষ পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। দলের একাংশের নেতারা বলছেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপিও নির্বাচনে যাবে না। আবার আরেক অংশের নেতারা বলছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিএনপি বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না। এদিকে আসন বণ্টন নিয়ে জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করলেও বিএনপি চাচ্ছে শরিকদের সর্বোচ্চ ৩০টি আসন ছাড়তে। আর শরিকরা আশা করছে ৬০টি আসন। শীঘ্রই আসন বণ্টনের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে ফয়সালা চান ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতারা। কিন্তু জোটের কোন দলকেই বিএনপি প্রত্যাশিত আসন দিতে পারছে না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জোট নেতাদের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আর এ ইঙ্গিত পেয়ে বিএনপির প্রতি জোট নেতাদের মন কষাকষি চলছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো ইতোমধ্যেই নিজ নিজ দলের সম্ভাব্য আসন ঠিক করেছে। সে অনুসারে ৩০০ আসনের মধ্যে জামায়াত একাই ৩১টি আসন পাওয়ার আশা করছে। এ ছাড়া এলডিপি ১০টি, বিজেপি ২টি, বাংলাদেশ ন্যাপ-১টি, লেবার পার্টি-১টি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ১টি, কল্যাণ পার্টি ৩টি, জাতীয় পার্টি (জাফর) ৫টি, খেলাফত মজলিশ ১টি, এনডিপি ১টি, মুসলিম লীগ ১টি, ন্যাপ ভাসানী ২টি ও জাগপা ১টি আসন দাবি করছে। কিন্তু বিএনপি জামায়াতকে সর্বোচ্চ ১৫টি, এলডিপিকে ২টি, বিজেপিকে ১টি, বাংলাদেশ ন্যাপকে ১টি, লেবার পার্টিকে ১টি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামকে ১টি, কল্যাণ পার্টিকে ১টি, জাতীয় পার্টিকে (জাফর) ৩টি, খেলাফত মজলিশকে ১টি, এনডিপিকে ১টি, মুসলিম লীগকে ১টি, ন্যাপ ভাসানীকে ১টি ও জাগপাকে ১টি আসন দিতে চাচ্ছে। পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুসারে বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে জোটগতভাবেই অংশ নেবে। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র ৬ মাস বাকি থাকলেও জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে এখন পর্যন্ত আলাপ-আলোচনা করেনি বিএনপি। তবে বিএনপি আসনভিত্তিক প্রার্থী বাছাই জরিপকালে নিজ দলের পাশাপাশি শরিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়েও খোঁজখবর নিয়েছে। যেসব আসনে শরিক দলের প্রার্থীদের বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে এমন আসনগুলোকে আলাদা করে চিহ্নিত করে রেখেছে বিএনপি। জানা যায়, আসন বণ্টন নিয়ে জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে এখন পর্যন্ত আলাচনা না হলেও খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি ফয়সালা হয়ে গেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বিএনপি। বিজয়ী হওয়ার মতো জোটের সুপরিচিত ও জনপ্রিয় নেতাদের মনোনয়ন নিশ্চিত করবে। সূত্র মতে, জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও বিএনপি দলীয়ভাবে ২৭০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি রেখেছে। বাকি ৩০টি আসন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের দেয়ার প্রস্তুতি থাকলেও এখনও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিরাশ করা হচ্ছে না। এ ছাড়া ২০ দলীয় জোটের বাইরের সমমনা কোন দল জোটের সঙ্গে নির্বাচনে আসলে বিএনপি ২৭০ আসন থেকে আরও ক’টি আসন ছেড়ে দেবে। আর শেষ পর্যন্ত জোটের শরিকরা না মানলেও বিএনপির নির্ধারিত আসন থেকে আরও ক’টি আসন ছাড়বে। এসব বিষয়ে নির্বাচনের আগেই লন্ডনে থাকা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে খালেদা জিয়া জেলে থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) ছেলে তারেক রহমানের মতামত নেবেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি ইতোমধ্যেই যে খসড়া প্রার্থী তালিকা করেছে তাতে অধিকাংশ সংসদীয় আসনে একাধিক প্রার্থীর নাম রয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় রেখে নির্বাচনের তফসিলের পর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। তবে আসন বণ্টন নিয়ে জোটের শরিকদের দরকষাকষি এবং নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অতিমাত্রায় দৌড়ঝাঁপ বিএনপি হাইকমান্ডকে এখনই ভাবনায় ফেলেছে। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৫ বছরের সাজা দেন আদালত। ওই দিনই তাকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কারাগারে পাঠানো হয়। দলের পক্ষ থেকে তার মুক্তির জন্য দফায় দফায় আন্দোলন কর্মসূচী ও আইনী লড়াই চালিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জামিন পাননি খালেদা জিয়া। সহসা জামিনে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন না দলের নেতারা। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তিনির্ভর করছে সরকারের ওপর। সরকার না চাইলে তার মুক্তি সহজে হবে না। আর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের ওপর নির্ভর করছে না। কারণ আইনী প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে আদালত। কাজেই তার মুক্তিনির্ভর করছে আদালতের ওপর। এদিকে প্রায় পৌনে চারমাস কারাবাসের পর খালেদা জিয়া এখন খুবই অসুস্থ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি এখন হাঁটা-চলা করতে পারছেন না বলেও দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তারা খালেদা জিয়াকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা প্রদান ও রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানোরও দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ বলছে খালেদা জিয়াকে কারাগারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জেল কোড অনুসারে যত রকমের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা তার সবই দেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সনের এখন যে অবস্থা আর যেভাবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো একে একে নিষ্পত্তি হচ্ছে তাতে শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জামিন পাবেন কি না বা শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি না এমন একটি আশঙ্কা শুধু বিএনপি নয় ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতাদের মধ্যেও রয়েছে। তাই জোট নেতারা বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে আলাপ-আলোচনার পাশাপাশি আসন বণ্টনের বিষয়টিও আগেভাগেই ফয়সালা করে রাখতে চান। পরিবেশ-পরিস্থিতি সাপেক্ষে যেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সে জন্যই তারা তা চান। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে জোট নেতারা হতাশ বলে জানা গেছে। ২০০০ সালে জামায়াত, বিজেপি ও ইসলামী ঐক্যজোটকে নিয়ে চারদলীয় রাজনৈতিক জোট গঠন করে বিএনপি। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোটগতভাবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয় বিএনপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোটের ভরাডুবি হলে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় থাকা বিএনপি নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল জোটের পরিধি বৃদ্ধি করে ১৮ দলীয় জোট গঠন করে। পরে আরও ২টি দলকে নিয়ে করা হয় ২০ দলীয় জোট। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে ২০ দলীয় জোটগতভাবেই নির্বাচন করবে বিএনপি। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতকে ৩১টি আসন দেয় বিএনপি। আর বিজেপিকে সাতটি এবং ইসলামী ঐক্যজোটকে দেয়া হয় ছয়টি আসন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোটের পক্ষ থেকে জামায়াতকে ৩৫টি, বিজেপিকে দুটি, ইসলামী ঐক্যজোটকে দুটি এবং জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামকে দুটিসহ শরিকদের ৪১টি আসন দেয়া হয়। তবে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় ২০ দলীয় জোটসহ সমমনা দলগুলোও নির্বাচনে যায়নি। ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াত এবার প্রাথমিকভাবে ৩১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। নবম জাতীয় সংসদে জামায়াত যে ৩৫টি আসনে নির্বাচন করেছে সেগুলো থেকেই এবার ৩১টি আসন চায় তারা। নির্বাচন তবে ২০ দলীয় জোটের আসন বণ্টন চূড়ান্ত হওয়ার পর জামায়াতের প্রার্থীরা প্রস্তুতি আরও জোরদার করবে। এ ছাড়া যেসব আসনে তারা মনোনয়ন পাবে না সেখানে জোট মনোনীত অন্য প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবে। এবার জামায়াতের কোন নেতা কোন এলাকা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন কৌশলগত কারণে দলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বলা হচ্ছে না। জোটের শরিক দলগুলো মনে করছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে আগেভাগে মাঠে না নামলে টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ জোটকে ভোটের মাঠে মোকাবেলা করা কঠিন হবে। আর বিএনপি নেতারা মনে করছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জোটের বিপরীতে খুব বেশি প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। মানুষ বিনা বাধায় ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে ফলাফল তাদের পক্ষেই যাবে। তবে সুষ্ঠু ভোট হলে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে প্রার্থী হয়ে সহজেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে এমনটি মাথায় নিয়েই এবার জোটের শরিকরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আর এ কারণেই অন্যান্য রাজনৈতিক জোটের মতো এখনও নির্বাচনী তৎপরতা শুরু না হওয়ায় তারা বিএনপির প্রতি শরিক দলগুলো নাখোশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিএনপির রয়েছে। তবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জেলে থাকায় এখনও আমরা আসন বণ্টন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকসংখ্যক আসনে অংশ নিতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। আর মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে বড় দলের সঙ্গে ছোট দলের দরকষাকষি করতে গিয়ে মনকষাকষিও হতেই পারে। তবে কোন আসনে কোন প্রার্থী অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন এবং বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা দেখেই আসন বণ্টন চূড়ান্ত করা হবে। সে ক্ষেত্রে অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন বিএনপির প্রার্থী থাকলে কি করে কম যোগ্যতা সম্পন্ন শরিক দলের প্রার্থীকে আসন ছাড়া হবে। কাজেই রাজনীতি করতে হলে সবাইকেই বাস্তবতা বুঝতে হবে। এখানে ক্ষোভ বা নাখোশ হওয়ার কিছু নেই। ২০ দলীয় জোটের শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া জনকণ্ঠকে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোন আলোচনা হয়নি। আশা করছি শীঘ্রই এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আমরা আশা করছি ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর যোগ্য নেতারা জোটের মনোনয়ন।
×