ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রমজান আর মধুমাস মিলে ফলের চাহিদা বেশি

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৩০ মে ২০১৮

রমজান আর মধুমাস মিলে ফলের চাহিদা বেশি

ওয়াজেদ হীরা ॥ গ্রীষ্ম মানেই ফলের মৌসুম। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজসহ নানা রকমের রসালো ফল সহজলভ্য এ মৌসুমে। সারা দেশের ন্যায় রাজধানীর বাজারেও নানা রকমের ফলের সমাহার ঘটেছে। নানাবিধ লোভনীয় মৌসুমি ফলে টইটম্বুর রাজধানীর অলিগলি। দোকান থেকে ফুটপাথ সর্বত্রই যেন ফলময়। রমজান মাস থাকায় প্রতিদিনই ইফতারে ফল খাচ্ছেন মুসল্লিরা। আর তাই বেড়েছে দেশীয় ফলের চাহিদাও। আর ক্রেতারা জানিয়েছেন সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরেও বিভিন্ন ফলে রাখা হচ্ছে বেশি দাম। মধুমাস জ্যৈষ্ঠ অর্ধেক শেষ। এরই মধ্যে নানা ফল বাজারে এসেছে। যদিও কিছু ফল আরও পরে আসবে। ইতোমধ্যেই রাজধানীর পাইকারি থেকে খুচরা পর্যাযের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে নানা ধরনের ফলের সমাহার। মৌসুমি এই ফল কিনতে ক্রেতাদের নিয়মিত যাতায়াত দোকানগুলোতে। ফল বিকিকিনিও হচ্ছে বেশ। রাজধানীর কাওরান বাজার, বাদামতলী, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ফলের পাইকারি বাজার। সেখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ফল কিনে হাজির হচ্ছেন দোকান, ফুটপাথ বা রাস্তায় বসানো দোকানে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা হরেকরকম মৌসুমি ফল বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। রাজধানীতে একই ফল একেক জায়গায় একেক দামে কেনা বেচা হচ্ছে। এটি নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ থাকলেও দেখার মতো যেন কেউ নেই। বিক্রেতাদের মতে, ফলের মান ও সাইজ অনুযায়ী কিনতে হয় তাই একেক জায়গায় মূল্যও একেক রকম হয়। নগরে বিক্রি হওয়া ফলগুলোর মধ্যে আম, লিচু, ছাড়াও বিক্রি বেড়েছে পেয়ারা, আনারস, কলা, পেঁপে, তালের শাঁস, লটকন, জামরুল, তরমুজ, ডালিম, কাঁঠাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের কলা। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, দেশী বিদেশী সব ধরনের ফলের চাহিদা বেড়েছে। রমজান মাস আর ফলের মাস দুই মিলে যেমন চাহিদা তেমনি যোগান বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। বাদামতলির পাইকারি ফলের বাজারে দেখা গেছে বিভিন্ন ইঞ্জিলচালিত নৌকাতে নানা ধরনের ফল আসছে আড়তে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সামনে আরও ক’দিন প্রচুর ফল আসবে। এদিকে একাধিক বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধু মাস হওয়ায় অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও অন্য সময় এসব ফল না পাওয়ায় সবাই এসময় ফল কিনেন। ডাক্তারদের পরামর্শ মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ গ্রাম ফল খাওয়া জরুরী। আর রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে অন্যান্য তেলেভাজা পণ্যের চেয়ে ফল আইটেম বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সাধারণ মানুষও প্রতিদিনই ইফতারিতে হরেক রকমের ফল রাখছেন। পল্টন মতিঝিলের অনেক ক্রেতা ফল কিনতে ছুটেন পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের পাশের গলিতে। সেখানে দেখা গেছে, থরে থরে সাজানো আম, লিচু, বাঙ্গি, তরমুজ, সফেদা, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আপেল, মাল্টা, জাম, জামরুলসহ একাধিক বিদেশী ফলও। ক্রেতারা দেখে দরদাম করে ফল কিনছেন। কেউ কেউ শুধুই খেজুর বিক্রি করছেন। হরেক রকম বিদেশী খেজুরের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের ‘আম্বার’, ইরানের ‘মরিয়ম’, তিউনিশিয়ার ‘দাপাস’ ও পাকিস্তানের ‘খুরমা’। প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব খেজুর। বিক্রেতা জসিম উদ্দিন জানালেন, ইতোমধ্যেই ফল আসা শুরু হয়েছে। সামনের কয়েকদিন আরও ফল আসবে। গুটি আম, হিমসাগর এসেছে তবে এখনো আসতেছে। সামনে আরও কয়েক ধরনের আম আসবে তখন যেদিকে তাকাবেন শুধুই আম কাঁঠাল দেখবেন। পাশের ব্যবসায়ী নজরুল জানালেন, জাম পাওয়া যাচ্ছে তবে দাম একটু বেশি। ছোট সাইজের ২৫০-৩০০ টাকা কেজি আর বড় সাইজের জাম ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অথচ একটি ধরনের জাম মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় কেজিতে ৫০ টাকা কমে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখানকার ব্যবসায়ীদের মত, তারা দেখে দেখে বেশি দামেই ভাল মানের ফল আনেন। সাতক্ষীরার হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি আর রাজশাহীর আম ২৫০ টাকা কেজি। এছাড়াও বাজারে চোষা নামের এক ধরনের লম্বা সাইজের আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি ধরে। বায়তুল মোকাররমের ফলের দোকানে দুই ধরনের লিচু বিক্রি করতে দেখা গেলো। একটি গোলাকার ও অনেক বড় দেখতে যা একশত লিচুর দাম বারশত টাকা। আর অন্য লিচুর দাম পাঁচশত টাকা শ (একশত) হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ১২০০ টাকা শ হিসেবে বিক্রি করা লিচু নিয়ে লিচু বিক্রেতা মামুন জানালেন, এটি দিনাজপুরের লিচু। বিচি ছোট হয়। খেতে খুবই মিষ্টি। বেশিরভাগই এসব দেশের বাহিরে চলে যায়। তবে উচ্চ শ্রেণীর ক্রেতাদের বিষয় মাথায় রেখে রাজধানীতেও এসব লিচু এনে বিক্রি করা হয় বলেও জানালেন তিনি। কারওয়ান বাজার থেকে লিচু কিনে সারোয়ার আলম বলেন, একশত লিচু ৩৫০ টাকা দিয়ে কিনলাম। যা দুদিন আগে ফার্মগেটে নিয়েছিলাম ৩০০ টাকায়। এজন্য বাজারে নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন বলে জানালেন তিনি। পান্থপথে ফল বিক্রেতা বোরহান মিয়া বলেন, এখন বেশিরভাগ আম, বাঙ্গি, লিচু, পেঁপে বিক্রি বেশি হচ্ছে। এখন কাঁঠাল থাকলেও দাম বেশি। ক্রেতাদের কাঁঠাল নিয়ে এখনও তেমন আগ্রহ নেই। আর কদিন বেশি পরিমাণে কাঁঠাল পাওয়া যাবে বলেও জানান। তবে পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের মূল্যের বিপুল ফারাক লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর প্রায় সব খুচরা বাজারে পাইকারির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ এবং কিছু জায়গায় দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব মৌসুমি ফল। বাংলামোটরে লিচু বিক্রেতা একশ লিচু ৫০০ টাকা ধরে বিক্রি করছে। কয়েক হাত দূরে আরেক লিচু বিক্রেতা ৩০০ টাকা ধরে বিক্রি করছে। অল্প দূরত্বে দামের হেরফের নিয়ে বিক্রেতারা বলেন একেক এলাকার লিচুর একেক দাম। আর লিচুর সাইজ অনুযায়ীও দাম হয়। এদিকে, ফলের আড়ত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ, ঈশ^রদী, দিনাজপুর থেকে প্রচুর লিচু আসছে। আম আসছে সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চাঁপাই থেকে। তরমুজ আসছে চট্টগ্রাম ও বরিশাল অঞ্চল থেকে বেশি। এছাড়াও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার বাঙ্গিতে ভরপুর গোটা রাজধানী। আর গাজীপুর ও নরসিংদী থেকে কাঁঠাল আসতে শুরু করেছে। ফলের আড়তগুলোতে ভোরে জমজমাট থাকে ফল বিক্রিতে। খুচরা বিক্রেতারা সাধ্য অনুযায়ী নানা ধরনের ফল কিনে নেন। কেউ ফল কিনতে ওয়াইজঘাট এলাকায় গেলেও কেউ আবার কারওয়ান বাজার থেকেই পাইকারি কিনেন। বাড্ডা এলাকার খুচরা ফলবিক্রেতা বোরহান উদ্দীন বলেন, আমার ফলের দোকানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম এবং লিচু। ফল কিনতে আসা রাবেয়া খাতুন নামের একজন গৃহিনী বলেন, বাজারে আম উঠার সময় থেকেই প্রায় দিন আম কিনছি, শুরুতে আমগুলো বেশি সুস্বাদু ছিল না। এখন বেশ মিষ্টি। তবে দাম কমেনি। সামনে হয়তো কমবে। ‘আম ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী, আগামী ২০ মে থেকে গুটি আম, ২৫ মে গোপালভোগ নেমেছে। এছাড়াও ইতোমধ্যেই হিমসাগর ও ক্ষিরসাপাতি বাজারে এসেছে। আগামী ১ জুন লক্ষ্মণভোগ, ৫ জুন ল্যাংড়া ও বোম্বায়, ১৫ জুন আম্রপালি, ফজলি ও সুরমা ফজলি বাজারে আসবে। আশ্বিনা আম আসবে ১ জুলাই থেকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে আম উৎপাদন হচ্ছে প্রায় এক লাখ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হচ্ছে বৃহত্তর রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। গত ৭ বছরে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে আমের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। এদিকে আমের সঙ্গে জাতীয় ফল কাঁঠাল খুব একটা বাজারে আসেনি। যেগুলো এসেছে তা উচ্চ মূল্য। আরও ১০-১৫ দিন পর পুরোপুরি কাঁঠাল সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। এখন মাঝারি সাইজের কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ওয়াইজঘাটের বিভিন্ন আড়তে দেখা গেল একেক দোকানে একেক ফলে ভরপুর। পাইকারি বাজারের ফলের আড়ত তামিম ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মতিন বলেন, এ বছর দেশীয় ফল অন্যান্য বছরের তুলনায় আগেই বাজারে চলে এসেছে। আবার খুচরা বাজারেও চাহিদা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এ সুযোগে কোন কোন খুচরা ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন সেটিও জানালেন। এদিকে, রমজান মাস আসলে দেশে পাকা কলার কদর বেড়ে যায়। কারণ ইফতার ও সেহরিতে কলা অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। আর রোজাদারদের এমন চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যেই লাগামছাড়া কলার দাম। এক হালি অর্থাৎ ৪টি সবরি কলা বিক্রি করছেন ৪৮ টাকায়। তবে মানভেদে ৪০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে তা। যা রোজা শুরুর আগে ৩০-৩৫ টাকা হালি পাওয়া যেতো। বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবরি ও সাগর কলা প্রতি ডজন ১২০ থেকে ১৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চম্পা, চিনি চম্পা, নেপালি, বাংলা কলা এর চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগে যে কলার দাম ছিল প্রতি পিস ৫ থেকে ৭ টাকা। সেই কলার দাম বেড়ে এখন প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকায়। বাজারে আছে জামও। খুব বেশি পাওয়া যায় না। তবে আছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ২৫০ টাকা করে এলাকাভেদে বিক্রি হচ্ছে। জামরুল দেখা যায় সবখানেই। সাদা এবং লাল রঙের ফলটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। অনেকেই মজা করে খান। ১৪০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লটকন। তালের শাঁসও অনেকে খুব মজা করে খান। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে সোনারগাঁওয়ের ১০০ লিচু ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং রাজশাহীর লিচু ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গাজীপুরের কাঁঠাল আকার ভেদে ৩৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন আকারের তরমুজ ১০০ থেকে ৩০০ টাকায় এবং বাঙ্গি আকারভেদে ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম নেয়া হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি, পাকা আম হিমসাগর ১৭০-২০০ টাকা কেজি, প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, প্রতি পিস বড় বেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, প্রতি কেজি জাম্বুরা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা, প্রতি কেজি পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ২৫-৪০ টাকা, আপেল ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, কতবেল ২০-২৫ টাকা প্রতিটি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আমদানি করা বিদেশী ফলের চাহিদাও প্রচুর। আপেল, খেজুর, কমলা, আঙুর, মাল্টাসহ নানা ধরনের ফল বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকারক সমিতির নেতাদের মতে, দেশে যেসব বিদেশি ফল আমদানি হচ্ছে সেগুলো দেশে উৎপাদন হয় না। সারা বছরই এসব বিদেশী ফলের চাহিদা রয়েছে। জানা গেছে, আপেল আমদানিতে বিশ্বে এ দেশের অবস্থান এখন সপ্তম ও মাল্টায় অষ্টম। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি করা বিদেশী ফলের সবচেয়ে বড় বাজার ঢাকায়। ৩০ শতাংশই বেচাকেনা হয় রাজধানীতে। আর চট্টগ্রামে হয় ১৫ শতাংশ। এ হিসাবে দেশের অন্য স্থানে আমদানিকৃত ফল বেচাকেনা হয় বাকি ৫৫ শতাংশ। তথ্যানুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতিদিন বিদেশী ফল আমদানি হয় ১৫ লাখ ৭৭ হাজার কেজি, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। আপেল, খেজুর, কমলা, আঙুরসহ ছয়টি ফল বেশি আমদানি হয় বিশ্বের ৪৬ দেশ থেকে। জানা গেছে, দেশীয় ফলের প্রান্তিক পর্যায়ের দাম রাজধানী ঢাকা থেকে অনেক কম। বছর বছর ফলের উৎপাদন বাড়লেও ক্রেতারা অনেক সময় তার সুফল পান না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে পরিবহন খরচ, মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য, খুচরা বিক্রেতাদের অতি মুনাফার কারণে কৃষকের কাছ থেকে সস্তায় আনা এসব ফল ঢাকার বাজারে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়। ক্রেতারা বেশি দামে কিনে খেতে বাধ্য হয়। এক্ষেত্রে নজরদারি বিষয়টি আরও জোরালো হওয়ারও মত দিয়েছেন কেউ কেউ।
×