ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় স্কুল ফুটবলে চূড়ান্ত পর্ব শুরু ৩০ মে

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২৯ মে ২০১৮

জাতীয় স্কুল ফুটবলে চূড়ান্ত পর্ব শুরু ৩০ মে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের মৃতপ্রায় ফুটবলকে আবারও বাঁচিয়ে তুলতে হলে প্রয়োজন তৃণমূল ফুটবলে জোর দেয়া। দেরিতে হলেও সেই শুভ বুদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। প্রায় ছয় বছর পর আবারও তারা আয়োজন করেছে যাচ্ছে জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। মে’র প্রথম সপ্তাহ থেকে সারাদেশের ৬৪ জেলার ৫৬ স্কুল নিয়ে শুরু হয় আসরটি। ইতোমধ্যেই আট বিভাগের আট চ্যাম্পিয়ন দল পাওয়া গেছে। তাদের নিয়ে ঢাকায় ৩০ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্বের খেলা। এ উপলক্ষে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের কনফারেন্স রুমে। এতে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সদস্য এবং স্কুল ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান বিজন বড়ুয়া, জাতীয় স্কুল ফুটবল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জালু এবং বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। চূড়ান্ত পর্বে দেশের সাতটি জোন থেকে মোট আট দল নির্বাচিত হয়েছে। ‘ক’ গ্রুপে আছে চট্টগ্রামের মেরিন একাডেমি স্কুল, বরিশালের ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, নাটোরের লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং শেরপুরের তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। ‘খ’ গ্রুপে আছে সিলেটের হাজী মাদরিস আলী উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার জ্বি ফুলবাড়িয়া দরগাশরীফ আলিম মাদ্রাসা, নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল এবং নারায়ণগঞ্জের বিএম ইউনিয়ন স্কুল। ফাইনালের আগ পর্যন্ত গ্রুপ পর্যায় এবং সেমিফাইনালসহ মোট ১৪ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। ফাইনাল খেলা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হবে কি না, তার নিশ্চয়তা এখনও দিতে পারেনি বাফুফে। ফিকশ্চার অনুযায়ী প্রতিদিনই খেলা। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যদি খেলা অনুষ্ঠিত না হয়, তার জন্য কোন রিজার্ভ ডে রাখেনি বাফুফে। সেক্ষেত্রে কি হবে? ‘বৃষ্টি হলে কোন সমস্যা হবে না। কারণ খেলা হবে কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে।’ কিন্তু বজ্রপাত হলে? কোন অঘটন হলে? সেটা কি ভেবে দেখেছে দেশীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি? ৩০ মে দুপুর পৌনে ২টায় ‘খ’ গ্রুপের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চূড়ান্ত পর্বের খেলা। যাতে সিলেটের হাজী মাদরিস আলী স্কুল মোকাবেলা করবে নারায়ণগঞ্জের বিএম ইউনিয়ন স্কুলের। একইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ম্যাচে। যাতে ‘ক’ গ্রুপের চট্টগ্রামের মেরিন একাডেমি স্কুল মুখোমুখি হবে শেরপুরের তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়া আট দল সবাই অংশগ্রহণ ফি হিসেবে পাচ্ছে ১৫ হাজার টাকা করে। এছাড়া সব খেলোয়াড়রা পাচ্ছে জার্সি, প্যান্ট, সকস, বুট এবং বল। প্রতি খেলায় ম্যাচসেরা খেলোয়াড় পাবে বিশেষ পুরস্কার। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে এক লাখ এবং রানার্সআপ দল পাবে ৫০ হাজার টাকা করে। এবারই প্রথমবারের মতো স্পন্সর হিসেবে ফুটবলে যুক্ত হয়েছে প্রাণ গ্রুপ। টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা করছে প্রাণ ডেইরি এবং তাদেরই অঙ্গ সংগঠন গুড লাক স্টেশনারিজ। টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের বয়স চুরি প্রসঙ্গে বিজন বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা সবার জন্ম নিবন্ধন এবং জেএসসি সনদপত্র পরীক্ষা করেছি। ফলে বয়স নিয়ে কোন অসঙ্গতি ধরা পড়েনি।’ চূড়ান্তপর্বের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো শুরু হবে দুপুর পৌনে ২টায়। এ প্রসঙ্গে বিজনের যুক্তি, ‘আমরাও এই বয়সে দুপুরের কড়া রোদে খেলেছি। কোন সমস্যা হয়নি। আশা করি ওদেরও হবে না।’
×