ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবলারদের পাওনা পরিশোধ করছে না ক্লাবগুলো

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৯ মে ২০১৮

ফুটবলারদের পাওনা পরিশোধ করছে না ক্লাবগুলো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের ফুটবলের যতই অধোগতি হোক না কেন, সেটা কিছুতেই বুঝতে চান না দেশের ক্লাবগুলোর কর্ণধাররা। দল বদলের সময় যোগ্যতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে নিজেদের ক্লাবে খেলোয়াড় ভেড়ানো তাদের বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে কিছু ক্লাব আছে, যারা পারিশ্রমিক বাড়িয়েই খালাস, কিন্তু খেলোয়াড়দের অর্থ পরিশোধে খুবই অনীহা প্রকাশ করে। করে নানা রকমের টালবাহানা। এতে করে হতাশ হয়ে পড়ছেন ভুক্তভোগী ফুটবলাররা। কঠিন হয়ে পড়ছে সংসার চালানো। ক্রমেই ফুটবল খেলার প্রতি হারিয়ে ফেলছেন আগ্রহ। এমনই ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। দুটি ক্লাব থেকে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দ্বারস্থ হয়েছেন কিছু ফুটবলার। এদেরই একজন মোহাম্মদ লিংকন। শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড থেকে তিনি এখনও পাননি তার পাওনা আট লাখ ১৬ হাজার টাকা! বাফুফে বরাবর এক আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন তিনি ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগ, স্বাধীনতা কাপ এবং ফেডারেশন কাপের সবকটি খেলায় শেখ জামালের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তারপরও অদ্যাবধি তিনি উপরোক্ত অঙ্কের পারিশ্রমিক ক্লাব থেকে বুঝে পাননি। লিংকনের মতো একই অবস্থা শেখ জামালে ওই সময়ে খেলা গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল এবং মিডফিল্ডার মোহাম্মদ শরীফও। জাতীয় দলে খেলা হিমেল পাবেন অনেক টাকা। কত? সেটা বলতে রাজি হননি। তিনি অবশ্য বাফুফেতে পাওনা চেয়ে এখনও আবেদন করেননি। তবে নয় মাস আগেই আবেদন করেছেন এক মৌসুম আগে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলা রাইট ব্যাকে খেলা পিন্টু কুমার দাস। তিনি পাবেন ৭০ হাজার টাকা। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘বাফুফে মুক্তিযোদ্ধাকে চাপ দিলে তারা পিন্টুর টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করার পাশাপাশি তাকে টাকা দেয়ার অঙ্গীকারও করে। তখন বাফুফে আমাকে ক্লাব থেকে টাকা নিতে বলে। আমি ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা প্রথমে আশ্বাস দিলেও এখন আর যোগাযোগ রক্ষা করছে না। বিষয়টি বাফুফেকে অবহিত করার জন্য চেষ্টা করলেও এখন বাফুফেও আমার ফোন ধরছে না!’
×