ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

না’গঞ্জে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ ও হত্যায় তিন আসামির ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২৯ মে ২০১৮

না’গঞ্জে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ ও হত্যায় তিন আসামির ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জে আসমা বেগম নামে এক পোশাক কারখানার শ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ জুয়েল রানা এই আদেশ দেন। মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামিরা হলো- নাসির উদ্দিন বিটল (৪০), খোকন মিয়া (৩২) ও ছফুন মিয়া (৩৪)। এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- ছালে আহাম্মদ, হাসান কবির মেম্বর, আব্দুল আজিজ ও মোঃ মিজান। দীর্ঘ ১০ বছর পর এ মামলার রায় প্রদান করা হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১১ মার্চ রাতে তার মেয়ে আসমা বেগম নারায়ণগঞ্জ থেকে গার্মেন্টসে কাজ শেষে শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর খেয়া পার হয়ে বাসায় ফেরার পথে অপহরণ হয়। পরদিন বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকায় একটি ঝোঁপ জঙ্গল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আসমার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত আসমা বেগমের বাবা রাজা মিয়া ও মা উম্মে হানি। ন্যায়বিচার পাননি দাবি করে তারা জানান, তারা সব আসামির মৃত্যুদ- আশা করেছিলেন। দশ বছর ধরে তারা ন্যায়বিচারের আশায় ছিলেন। চারজন আসামি খালাস পেয়ে যাওয়ায় তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানান তারা। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ জানান, মামলার তদন্তে ২৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। এর মধ্যে ১৪ জন আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষী দেয়। এতে প্রমাণ হয় দণ্ড প্রাপ্ত আসামি নাসির উদ্দিন বিটল, খোকন মিয়া ও সফুন মিয়া আসমা বেগমকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। আসামি পক্ষের আইনজীবী সুলতানুজ্জামান জানান, আসামি পক্ষ মনে করে রায় যথার্থ হয়নি এবং আইনানুগ হয়নি। এই রায়ে আসামি পক্ষে ন্যায়বিচার পায়নি। আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবে। আরেক আইনজীবী মনিক মিয়া জানান, রায়ে আসামি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উচ্চ আদালত রায়ে আসামিরা সুবিচার পাবে। এজন্য উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে।
×