ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত: ২২:২৭, ২৮ মে ২০১৮

নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ পরিবার কল্যাণ সহকারী (মহিলা) পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার এক প্রার্থীকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই কক্ষ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। খালিয়াজুরি উপজেলার শালদীঘা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত নিখিল চন্দ্র রায়ের মেয়ে কলি রায় স্থানীয় জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। তবে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা এক শিক্ষক দাবি করেছেন ‘অভিযোগটি অসত্য’। অপর আরেক শিক্ষকের বক্তব্য জানা যায়নি। অভিযোগে প্রকাশ, রোল নম্বর ১৭৩৬৭১৯৩ এর প্রার্থী কলি রায় গত ২৫ মে জেলা সদরের নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০৯ নং কক্ষে লিখিত পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা চলাকালে কক্ষ পরিদর্শক কেন্দুয়ার জনতা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম এবং মাহমুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কল্যাণী সেন তাকে নানাভাবে হয়রানি করেন। পরীক্ষা শুরুর আগে শফিকুল ইসলাম তাকে বাইরে ডেকে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করেন। এরপরও তিনি পরীক্ষা দিতে বসলে তারা একটু পরপর তার খাতা উল্টেপাল্টে দেখে পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটান। কলি রায় উত্তরপত্রে নির্ভুলভাবে বৃত্ত ভরাট করলেও শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত আরও একটি বৃত্ত ভরাট করে দেন এতে তার উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হতে পারে। কলি রায়ের অভিযোগ, তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী হওয়ায় একই কক্ষের অন্য প্রার্থীদের প্ররোচনায় দুই কক্ষ পরিদর্শক তার সঙ্গে এমন আচরণ করেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষিকা কল্যাণী সেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কলি রায়ের সঙ্গে তার আরেক আপন বোনও পরীক্ষা দিচ্ছিল। তারা দু’জন দেখাদেখি করতে চাইলে আমরা নিষেধ করি। এছাড়া উত্তরপত্রের বৃত্ত ফাঁকা রাখায় আমরা বৃত্ত ভরাট করতে বলি। এর বাইরে তাকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। অপর পরিদর্শক জনতা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলামের মোবাইলে রিং করা হলে এক নারী ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম বাসায় নেই। তিনি রোগী নিয়ে হাসপাতালে গেছেন। তাকে এ মুহূর্তে ফোন দেয়া সম্ভব নয়’। অন্যদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর হায়দার ফকির বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ জেলা প্রশাসক মঈলউল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগটি তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
×