অনলাইন ডেস্ক ॥ দুবাই যেন বিশ্বের স্বর্ণের রাজধানী। বিশ্বের স্বর্ণ বাজারের বিপুল অংশ এখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরিসংখ্যানে প্রকাশ বিশ্বের স্বর্ণ বাণিজ্যের ২৫ শতাংশ দুবাই থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
দুবাইতে দেখা যায় স্বর্ণের নানা বিলাসী ব্যবহার। অনেকেই তার দামি গাড়িটিকে স্বর্ণের প্লেট দিয়ে মুড়িয়ে দেন। এছাড়া রয়েছে স্বর্ণের ভেন্ডিং মেশিন, যেখানে টাকা দিলেই বের হয়ে আসে স্বর্ণের বিস্কুট।
দুবাইয়ের বুর্জ আল আরব হোটেলের ১৭৯০ বর্গমিটার এলাকা স্বর্ণের পাত দিয়ে মোড়ানো। হোটেলটির ২৭ তলায় একটি বারের নাম ‘গোল্ড অন ২৭’। এখানে যেসব পানীয় পরিবেশন করা হয় সেগুলোতেও রয়েছে স্বর্ণ।
বিভিন্ন ককটেলের সঙ্গে স্বর্ণ পরিবেশন করা হয় বারটিতে। এর মধ্যে রয়েছে ‘এলিমেন্ট ৭৯’ নামে একটি অ্যালকোহলমুক্ত স্পার্কলিং ওয়াইন। এতে দেওয়া থাকে স্বর্ণের গুড়া।
এছাড়া আরো বহু খাবারেই স্বর্ণ পরিবেশন করা হয়। খাবারের ওপর খুব পাতলা পরতের স্বর্ণ দেওয়া হয়।
কিন্তু খাবারে কেন স্বর্ণ দেওয়া হয়? এর স্বাদই বা কেমন? এ প্রশ্ন করেন অনেকেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বর্ণের কোনো স্বাদ নেই। এমনকি এর কোনো পুষ্টিগুণও নেই। স্বাস্থ্যগত কোনো উপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকও জানা যায়নি।
খাবারে কেন স্বর্ণ দেওয়া হয়, এ প্রশ্নের উত্তরে হোটেলটির ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সহকারী ম্যানেজার ইতিয়েনো হ্যারো বলেন, স্বর্ণ হলো বিলাসের অপর নাম। আর এ কারণেই তারা এটি ব্যবহার করেন।
শুধু হোটেলের নির্দিষ্ট মেনুতেই নয়, আরো কিছু বিশেষভাবে অর্ডার দেওয়া খাবারে স্বর্ণ পরিবেশনের ব্যবস্থা রেখেছে হোটেলটি। খাবারে মূলত স্বর্ণের পাতা ও স্বর্ণের গুড়া ব্যবহৃত হয়, যা গয়নাগাটিতে ব্যবহৃত স্বর্ণের চেয়ে আলাদা।