ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাত জেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১১

প্রকাশিত: ১৮:২০, ২৮ মে ২০১৮

সাত জেলায় বন্দুকযুদ্ধে   নিহত ১১

অনলাইন ডেস্ক ॥ রাজধানীসহ সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযানকালে বন্দুকযুদ্ধে এগারোজন নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধে ঢাকায় একজন, কুমিল্লায় দুজন, পিরোজপুরে দুজন, মুন্সীগঞ্জে একজন, সাতক্ষীরায় দুজন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে একজন, ঝিনাইদহে একজন , এবং পাবনায় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঢাকা : মিরপুরে ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত পরিচয়ে (৫০) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, নিহত ওই ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী। রূপনগর থানার এসআই মিজানুর জানান, রূপনগরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে-এমন খবর পেয়ে ডিবি (পশ্চিম) বিভাগের একটি দল দিবাগত রাত ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। ডিবিও পাল্টা গুলি চালালে একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। কুমিল্লা : কুমিল্লায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধে এনামুল হক (দোলন) ভূঁইয়া (৩৫) ও নুরু নামের (৫৫) দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ী। রবিবার দিবাগত রাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা এলাকায় এ দুটি ঘটনা ঘটে। দেবিদ্বারে নিহত দোলন উপজেলার ভিংলাবাড়ি (মির্জানগর) গ্রামের মৃত আবদুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে এবং সদর দক্ষিণে নিহত নুরু উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার করতে পুলিশের একটি দল উপজেলার পশ্চিম ভিংলাবাড়ি এলাকায় গোমতী বাঁধে অবস্থান নেয়। সেখানে মাদক ব্যবসায়ী দোলনসহ তার সহযোগীরা পৌঁছলে তাদের আটকের চেষ্টা করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী দোলনসহ তার ওপর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষায় ২৩ রাউন্ড শটগানের গুলি চালায়। এতে দোলন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দোলনের মৃত্যু হয়। ওই অভিযানে এসআই যুবরাজ বিশ্বাস, পুলিশ সদস্য গনেশ, মনির ও রাজ্জাক আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পাইপগান, ১০ কেজি গাঁজা ও ১০০ পিস ইয়াবা। নিহত দোলনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার ও মুরাদনগর থানায় ১২টি মাদকের মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মাদকবিরোধী অভিযানকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী গলিয়ারা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী নুরু ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও গুলি চালালে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয় নুরু। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধারের পর কুমেক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক নুরুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও ৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। নিহত নুরু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে ১১টি মাদক ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি। পিরোজপুর: পিরোজপুরে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওহিদুজ্জামান (৩৫) ও মিজানুর রহমান (৩৪) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। নিহত মাদক ব্যবসায়ী ওহিদুজ্জামান নেছারাবাদ উপজেলার দক্ষিণ কৌরিখাড়া গ্রামের মৃত আ. রহমানের ছেলে । পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ জানান, রবিবার দুপুরে পিরোজপুর পৌরসভার উত্তর কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে ওহিদুজ্জামানকে পিরোজপুর ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী রাত পৌনে ১টার দিকে সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের টোনা ব্রিজসংলগ্ন কৈবর্তখালী গ্রামে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে গেলে ওহিদুজ্জামানের সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ সময় ওহিদুজ্জামানকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। পরে ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ডিবি পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী ওহিদুজ্জামান পালাতে গেলে গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় ডিবি পুলিশের এএসআই আল-আমিন ও ডিবি পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৫ রাউন্ড গুলি, দুটি বগি দা, ১৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫০ গ্রাম গাঁজা, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক, সন্ত্রাসী, অস্ত্র মামলাসহ মোট ৮টি মামলা রয়েছে। মঠবাড়িয়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, রবিবার দিবাগত রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ি এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। রাত পৌনে ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন, উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম, তসলিমুর রহমান ও নূর আমিন, সহকারী উপপরিদর্শক ইয়ার আলী ও আবুল হাসান আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেড় কেজি গাঁজা, ৫৫ পিস ইয়াবা ও চারটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের ছয়টি মামলা রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুরমা গ্রামে বন্দুক যুদ্ধে মাদক বিক্রেতা সুমন বিশ্বাস ওরফে কানা সুমন (৩৬) নিহত হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন ওই এলাকার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ আবজারুল বাসার জানান, সুমনকে রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে তার কয়টি গুলি লেগেছে তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি তদন্ত গাজী সালাউদ্দিন জানান, মিরকাদিম পৌরসভার মুড়মা এলাকায় দুই গ্রুপ মাদক বিক্রেতাদের মাঝে বন্দুক যুদ্ধ হয়। এই সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে কানা সুমন নিহত হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি আরো জানান, নিহত সুমন মাদকসহ ২০ থেকে ২৫ টি বিভিন্ন মামলার আসামি। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় ছুড়ি ও বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তবে কি পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে তা এখনো গননা করা হয়নি। সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন বলে জানান ওসি। সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার বাঁকালে অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি তারা মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে নিহত হয়েছে ওই দুজন। সোমবার ভোরে সাতক্ষীরা ভোমরা সড়কের বাঁকালের আগুনপুর গ্রামে রাস্তার পাশ থেকে ওই লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। সদর থানার উপপরিদর্শক প্রবীর কুমার দাস জানান, ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ দুটির দেহে একটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তাদের পরনে ছিল লুঙ্গি ও গেঞ্জি। মাত্র ১০ গজের ব্যবধানে পড়ে থাকা লাশ দুটির পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ। তিনি বলেন, পাশেই পাওয়া গেছে একটি ওয়ান শুটারগান ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিল। এ ছাড়া মদের খালি বোতলও পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। নিজেদের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে দুজন নিহত হন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) : ॥চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী আবু সাঈদ বাদশা ওরফে লাল বাদশা (৪৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ২টায় ওই ইউনিয়নের বৈচাতলী এলকায় এই ঘটনা ঘটে। বাদশা একই উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ ছৈয়ালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় ৭টি, চাঁদপুর সদরে ২টি, চট্টগ্রামে ১টিসহ ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা থানা সূত্রে জানাযায়, রাত ১০টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাদশার বাড়ী থেকে ১১১পিচ ইয়াবাসহ আটক করেন। তাকে থানায় জ্ঞিাসাবাদ করলে আরেক শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হেলালের নাম পুলিশকে জানায়। বাদশার তথ্যানুযায়ী তাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল অভিযানে বের হয়। গুপ্টি ব্রিজ এলাকায় গেলে চাঁদপুর সেচ প্রকেল্পর বাঁধের বৈচাতলী নামক স্থানে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপর হামলা ও গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয় আবু সাঈদ বাদশা। আহত অবস্থায় তাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলম জানান, পুলিশ নিহতের কাছ থেকে ১শ’ ১১ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ঘটনাস্থল থেকে ১টি একনলা বন্দুক, ৩টি ককটেল, ৪ রাউন্ডগুলি উদ্ধার করেন। ঘটনার সময় পুলিশের এএসআই বাবুল, সুমন, সুমন চৌধুরী, সদস্য আশরাফ ও দেলোয়ার আহত হন। বাদশার মরদেহ দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ঝিনাইদহ: ॥ঝিনাইদহে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে গোলাগুলিতে ফরিদুল ইসলাম ফরিদ (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। গতরাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জাড়গ্রামে মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, রাত ১টার দিকে জাড়গ্রামে গোলাগুলির শব্দ শুনে টহল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে। সেখানে একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তার মৃতদেহ সদর হাসপাতালে আনলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম ফরিদ বলে লোকজন সনাক্ত করে। মৃতদেহের পাশ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, কেজি খানেক গাঁজা, ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ৬ জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। পাবনা: বেড়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইজ্জত আলী প্রামানিক (২৮) নামে একজন মারা গেছেন। তিনি উপজেলার হাটুরিয়া পূর্বপাড়ার মৃত আজাহার আলী প্রামাণিকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, রাত দেড়টার দিকে বেড়া থানা পুলিশের একটি দল টহল দেওয়ার সময় পৌর এলাকার তেঘরী মহল্লার একটি বাগানের সামনের রাস্তায় একদল ডাকাত দেখতে পায়। তারা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছিল। পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোড়ে ও ককটেল ফাটায়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটলে ঘটনাস্থলে ইজ্জত আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গৌতম বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় এসআই সুব্রত কুমার বিশ্বাসসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশি শাটারগান, ৪ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু মাদকদ্রব্য।
×