ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেশি রফতানি করে তিউনিসিয়া

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খেজুর উৎপাদন করে মিসর

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৮ মে ২০১৮

 বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খেজুর উৎপাদন করে মিসর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রমজান মাসে মুসলিম দেশগুলোতে খেজুরের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। সুস্বাদু এ ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকার ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। জাতিসংঘের কমোডিটি ট্রেড ডাটা বেইস অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খেজুর উৎপাদন হয় মিসরে এবং সবচেয়ে বেশি রফতানি করে তিউনিসিয়া। ২০১৭ সালে তিউনিসিয়া ২৫০ মিলিয়ন ডলারের খেজুর রফতানি করেছে। অন্যদিকে ১৮২ মিলিয়ন ডলার রফতানি করে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে সৌদি আরব। এ ছাড়া ১৫২ মিলিয়ন ডলারের খেজুর রফতানি করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসরাইল এবং ১২৪ ও ১০৭ মিলিয়ন ডলারের খেজুর রফতানি করে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইরান ও পাকিস্তান। এ ছাড়া রফতানিকারক অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে- সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, আলজেরিয়া, ইরাক, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, মিসর, জার্মানি, ফিলিস্তিন, জর্দান, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া, ডেনমার্ক ও তুরস্ক। অন্যদিকে খেজুর উৎপাদনে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে- মিসর, ইরান, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। মিসরের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের মোট খেজুরের ১৮ শতাংশ উৎপাদন করে দেশটি। যা আরব দেশগুলোর তুলনায় ২৩ শতাংশ। মিসর বিশ্বের ৪২ দেশে খেজুর রফতানি করে। এর মধ্যে বাংলাদেশসহ ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মিসরের খেজুর রফতানি ৭০ শতাংশ বেড়ে ৩০ হাজার টন হয়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনডেক্স বক্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বিশ্বে ৯৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের খেজুর উৎপাদন হয়। যার পরিমাণ ৮০ লাখ ৪৩ হাজার টন। ২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত খেজুরের বাজারে প্রবৃদ্ধি আসবে ২.০ শতাংশ হারে। ২০২৫ সাল নাগাদ খেজুরের উৎপাদন হবে ৯.৬ মিলিয়ন টন। সূত্র- ন্যাশনাল বিজনেস, আরব নিউজ।
×