ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৯০ ভাগ স্কুলের পাশে সিগারেট বিক্রি হয় : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:২২, ২৭ মে ২০১৮

৯০ ভাগ স্কুলের পাশে সিগারেট বিক্রি হয়  :  শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ স্কুলের আশপাশের দোকানে সিগেরেটসহ তামাক ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি বন্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। এর আগে, বাংলাদেশের স্কুলের আশপাশের ৯০ শতাংশ দোকানে সিগারেটসহ বিভিন্ন তামাক ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি করা হয় বলে জানায় তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা। তামাকের ব্যবহার কমাতে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধে কঠোর আইনের সঠিক বাস্তবায়নের পাশাপাশি সিগারেটের দাম বাড়ানোর দাবি জানায় সংগঠনটি। পরে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা যৌথভাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। রবিববার (২৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার এবং বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘তামাক ও হৃদরোগ’ বিষয়ক এক উপস্থাপনায় এ তথ্য জানান প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর মো. হাসান শাহরিয়ার। স্কুলের আশপাশের দোকানে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্য বিক্রি বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। একই সঙ্গে আগামীতে পাঠ্যপুস্তকে আলাদাভাবে তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হবে বলেও জানান নাহিদ। তিনি বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে যেসব পাঠ্যপুস্তক যাবে তাতে সিগেরেটসহ তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলাদাভাবে লেখা থাকবে। বর্তমানে মাদক নিয়ে লেখা থাকলেও তামাক নিয়ে আলাদা ভাবে কোনো লেখা নেই। ‘তামাক ও হৃদরোগ’ বিষয়ক উপস্থাপনায় বলা হয়, তামাকজনিত মহামারি প্রতি বছর বিশ্বের ৭০ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। পরোক্ষ ধূমপানে মারা যায় ৯ লাখ মানুষ। বিশ্বের এক নম্বর মরণব্যাধি হৃদরোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে প্রতিবছর সারা বিশ্বে ২০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আর বাংলাদেশে যত মানুষ হৃদরোগে মারা যান তার ৩০ শতাংশ তামাক ব্যবহারের কারণে। এ সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গবেষণার তথ্য-উপাত্ত দেখিয়ে বলা হয়, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ, স্টোকের ঝুঁকি তিনগুণ, বুকে ব্যথা ঝুঁকি ২০ গুণ। দিনে একটি করে সিগেরেট খেলেও হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। এবার প্রজ্ঞা তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০১৮ এর পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন- প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় দৈনিক কালের কণ্ঠের আবুল কাসেম, ফিন্যান্সয়াল এক্সপ্রেসের দৌলত আক্তার মালা, সেরা টিভি রিপোর্টে এনটিভির এসএম আতিক, সেরা স্থানীয় পত্রিকা রিপোর্টে সিলেটের ডাক পত্রিকার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। এছাড়া জুরি বোর্ডের মনোনয়নে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন দৈনিক কীর্তনখোলা পত্রিকার গোলাম মর্তুজা জুয়েল। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মা কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন। সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন।
×