ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রী কল্যাণ সমিতির রিপোর্ট

রমজানে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ২৭ মে ২০১৮

রমজানে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রমজানের শুরু থেকে পরিবর্তিত অফিস সময় অনুযায়ী যাতায়াতে নগরীর যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই সময়ে সকাল সাতটা থেকে দুপুর ১১টা, দুপুর দুটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নগরীতে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসের প্রায় ৯৬ শতাংশ সিটিং সার্ভিসের নামে দরজা বন্ধ করে যাতায়াত করছে। এতে নগরীর মাঝপথের যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ সব বাস সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এতে করে নি¤œ আয়ের লোকজনের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শনিবার চলতি রমজানে নগরীতে যাতায়াতকারী যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি নিয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিচালিত এক জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে। যা সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নগরীতে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিক্সার ৯৪ শতাংশ চুক্তিতে চলাচল করছে। ৯৮ শতাংশ অটোরিক্সা মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া বা বখশিশ দাবি করছে। আগে ১০ টাকা বখশিশ চাইলেও রমজানে ৩০/৫০ টাকা বখশিশ দাবি করা হচ্ছে। যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যেতে রাজি হয় না ৯০ শতাংশ অটোরিক্সা। অনেকটা কাকতালীয়ভাবে ড্রাইভারের পছন্দের গন্তব্যে মিলে গেলে রাজি হয় যাত্রীর গন্তব্যে যেতে। এদিকে শনির আখড়া, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, পোস্তগোলা, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর-১০, মহাখালী, আগারগাঁও, ধানম-ি, বনানী, বারিধারাসহ নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকার রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ট্যাক্সি ক্যাবের দেখা মেলে না। এতে পাঠাও, উবারসহ এ্যাপস ভিত্তিক পরিবহনগুলো অসহায় যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে পাশে দাঁড়াচ্ছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রী ছাউনি না থাকায় বা যাত্রী ছাউনিগুলো বেদখলে থাকায় বৃষ্টিতে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়ছে নগরীর যাত্রী সাধারণ, বিশেষত নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীরা এহেন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে। যাত্রীসাধারণের অফিস যাত্রা এবং অফিস ছুটি শেষে ইফতারকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো যাত্রাকে টার্গেট করে নগরীতে চলাচলকারী বেসরকারী বাসে সবক’টি এখন রাতারাতি সিটিং সার্ভিস বনে গেছে। এ সব বাস বিশেষত ইফতারের সময় যাত্রীদের ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দ্রুত গন্তব্যে যাত্রা করছে। একমাত্র বিআরটিসি বাস ও হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানির বাস মাঝপথের যাত্রীদের বাদুরঝোলা হয়ে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপকমিটির ৫টি টিম ৬ দিন ধরে নগরীতে উল্লেখিত স্পটসমূহে রমজান মাসে যাত্রী ভোগান্তি ও ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণকালে ৩১০টি বাস ও ৫৫৭ জন বাসযাত্রী, ২১৪টি অটোরিক্সা ১৮৫ জন অটোরিক্সার যাত্রী, ৫৬ জন ট্যাক্সিক্যাব যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এই জরিপ পরিচালনা করে।
×