ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও জিমির হ্যাটট্রিকে মোহামেডানের জয়

প্রকাশিত: ০৭:২০, ২৭ মে ২০১৮

আবারও জিমির হ্যাটট্রিকে মোহামেডানের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রাসেল মাহমুদ জিমির হ্যাটট্রিক মানেই মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নিশ্চিত জয়। গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লীগে শনিবারও তেমনটাই দেখা গেল। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চারবারের প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবকে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই সব গোল হয়। ১১ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লীগে শীর্ষে রয়েছে মোহামেডান। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা আবাহনী লিমিটেড ও মেরিনার ইয়াংসের পয়েন্ট ২৭ করে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ এসসির দশম ম্যাচে এটা সপ্তম হার। মাত্র ৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে নবম স্থানে। শনিবারের ম্যাচে দশম মিনিটে গুরজিন্দর সিংয়ের বাড়ানো বল দারুণ হিটে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন জিমি (১-০)। ১৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় সাদা-কালোরা। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে সার্কেলের মধ্যে দুজনকে কাটানোর পর জিমির নেয়া রিভার্স হিট শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়েও ফেরাতে পারেননি গোলরক্ষক রাসেল খান বাপ্পী (২-০)। দুই মিনিট পর ফিল্ড গোলে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন জিমি (৩-০)। চলমান লীগে এটা তার ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক, যা সবার চেয়ে বেশি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে কিছুক্ষণ খেলার পর তাকে তুলে নেন মোহামেডানের কোচ মওদুদুর রহমান শুভ। জিমি না থাকায় দলটির খেলার গতি কমে যায়। পরে ব্যবধান না বাড়লেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে এ্যাজাক্স স্পোর্টিং ক্লাব ৫-৩ গোলে হারায় সাধারণ বীমাকে। ম্যাচের প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ২-১ গোলে। বিজয়ী দলের ইমতিয়াজ রুবেল ২৪ মিনিটে পিসি গোল, লক্ষীন্দর সিং ৩৪ মিনিটে পিসি গোল, গুরুপ্রীত সিং ৩৬ মিনিটে ফিল্ড গোল, হান্সরাজ ৪৮ মিনিটে পিসি গোল এবং ৫৯ মিনিটে লক্ষীন্দর সিং পিসি গোল করেন। পরাজিত দলের যোগা সিং ১৩ মিনিটে ফিল্ড গোল, ফয়সাল হোসেন ৫৭ মিনিটে ফিল্ড গোল এবং যাহিদ বিন তালিব ৬১ মিনিটে পিসি গোল করেন। পুরো ম্যাচে পিসি পায় সাধারণ বীমা ৬টি, এ্যাজাক্স ৫টি। নিজেদের দশম খেলায় এটা এ্যাজাক্সের পঞ্চম জয়। এছাড়া ১ ড্রতে তাদের মোট পয়েন্ট ১৬। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান পঞ্চম। টপকে গেল ভিক্টোরিয়াকে। যাদেরও সমান খেলায় সমান পয়েন্ট। তবে গোল গড়ে এগিয়ে থাকায় এ্যাজাক্সই ওপরে (এ্যাজাক্সের +০, ভিক্টোরিয়ার-২)। এ্যাজাক্স গোল করেছে ৩১, হজমও করেছে সমসংখ্যক গোল। আর ভিক্টোরিয়া গোল করেছে ২৭, হজম করেছে ২৯ গোল। পক্ষান্তরে দশম খেলায় এটা বীমার ষষ্ঠ হার। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে ১২ দলের মধ্যে অষ্টম অবস্থানে। প্রথম পর্ব শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া পাঁচ দল খেলবে সুপার ফাইভ পর্বে। প্রথম পর্বে অর্জিত পয়েন্ট যোগ করে সুপার ফাইভ লীগের স্থান নির্ধারণ করা হবে। প্রথম পর্বের গোলসংখ্যা সুপার ফাইভে যোগ হবে না। শুধুমাত্র সুপার ফাইভে পক্ষে এবং বিপক্ষে গোল পার্থক্য স্থান নির্ধারণের জন্য ধরা হবে (চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দল ব্যতীত)। সেই হিসেবে সুপার ফাইভের প্রথম চারটি দল ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গেছে (মোহামেডান, মেরিনার, আবাহনী এবং সোনালী ব্যাংক)। এখন পঞ্চম দল কে হবে, এটা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে জল্পনা-কল্পনার। এই স্থানের জন্য লড়াই করছে দুটি দল-এ্যাজাক্স এবং ভিক্টোরিয়া। দুটি দলেরই সমান পয়েন্ট (১৬)। তাদের একধাপ পেছনে সপ্তম স্থানে থাকা ওয়ারীর পয়েন্ট ১৩। তিনটি দলই ১০ ম্যাচ খেলে ফেলেছে। আর ১টি করে ম্যাচ খেলা বাকি। আজ অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচটিই মহাগুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে এ্যাজাক্স-ভিক্টোরিয়া। ম্যাচে যে দল জিতবে, তারাই পঞ্চম দল হিসেবে সুপার ফাইভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সুবিধাজনক অবস্থানে আছে এ্যাজাক্স। তাদের শুধু ড্র করলেও চলবে। আর ভিক্টোরিয়া জন্য হচ্ছে ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচ। সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে ওয়ারীর। কেননা সোমবার সাধারণ বীমাকে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারালেও কোন লাভ নেই তাদের!
×