ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রান্সের বড় সুযোগ দেখছেন ভ্যান মারউইক

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২৭ মে ২০১৮

ফ্রান্সের বড় সুযোগ দেখছেন ভ্যান মারউইক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের মাটিতে ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। এখন পর্যন্ত সেটিই তাদের প্রথমবার শিরোপা জয়ের রেকর্ড। ২০০৬ সালে রানার্সআপ এবং গত বছর কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে ফ্রান্স। সবমিলিয়ে ১৫ বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দেশটি একবার চ্যাম্পিয়ন, একবার রানার্সআপ, দুইবার তৃতীয় স্থান, একবার চতুর্থ স্থান, দুইবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। কোচ দিদিয়ের দেশমের অধীনে বর্তমানে দলটি বেশ ভাল ফর্মেই আছে। আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট দল তারা। এবার ফরাসীদের সুযোগ কতখানি তা নিয়ে হল্যান্ডের সাবেক কোচ বার্ট ভ্যান মারইউক তার বিশ্লেষণী মন্তব্য করেছেন এক সাক্ষাতকারে। ৮ বছর আগে ডাচদের ফাইনালে তুলেছিলেন কোচ হিসেবে। এবার অস্ট্রেলিয়ার কোচ এ ৬৫ বছর বয়সী ডাচ। ৩২ দলের মধ্যেই তিনিই সর্বাপেক্ষা অভিজ্ঞ কোচ। তিনি মনে করেন এবার বিশ্বকাপ জেতার বড় সুযোগ রয়েছে ফ্রান্সের। সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেছেন- প্রশ্ন ॥ আগের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা থেকে একজন কোচ কতখানি সুবিধা পেতে পারে? মারউইক ॥ আমি মনে করি না এটাকে কোন বাক্য দিয়ে বর্ণনা করা সম্ভব। কিন্তু আমি মনে করি এটা নিজের মনোভাব দিয়ে করে নিতে হবে। খেলোয়াড়দের অনুভব করতে হবে যে এই কোচের অভিজ্ঞতা আছে। সুতরাং আমি মনে করি এই বিষয়টা যে কোন কিছুর চেয়ে অনেক ছোট বিষয়, তবে আংশিকভাবে বিশেষ কিছুই। প্রশ্ন॥ অস্ট্রেলিয়ান দলে কি মনোভাব দেখছেন? মারউইক ॥ তারা খুব ভালো মানসিকতা নিয়ে বেশ অনুপ্রাণিত। তারা খুব ভালো শ্রোতা। প্রথম দিন থেকেই আমার খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পাওয়া মনোভাব ছিল খুবই ভালো। গত মার্চে একসাথে ১০ দিন থাকাটা খুবই ভালো এবং কার্যকরী ছিল আমাদের জন্য। কলম্বিয়ার সঙ্গে প্রথমার্ধে আমরা যেমন খেলেছিলাম সেটা নিয়ে আমি সন্তুষ্টই ছিলাম। প্রশ্ন ॥ রাশিয়ায় আপনার দল কতটুকু চমক দেখাতে পারবে? মারউইক ॥ আমি দলের কাছ থেকে কিছুই বের করে আনতে চাইব না। চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে পদ্ধতিগত বিষয়গুলো খুঁজে বের করা যা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়। আর এটা আরও ভালো হয় যদি কোচের সঙ্গে ভালোভাবে মিলে যায়। প্রশ্ন ॥ হল্যান্ড বিশ্বকাপে আসতে না পারায় এখন অস্ট্রেলিয়ার প্রতি মনোযোগ বেড়েছে? মারউইক॥ আমি ইতোমধ্যেই এটা উপলব্ধি করেছি এবং দেখেছিও। আর আমি মনে করি এটা ক্রমান্বয়ে বাড়বে যেহেতু আমরা বিশ্বকাপের কাছাকাছি চলে এসেছি। কারণ, আমিই একমাত্র ডাচ যে এই বিশ্বকাপে কোচিংয়ে আছে। আমার মনে হয় মরক্কোর প্রতিও একটা আগ্রহ থাকবে, কারণ প্রচুর ডাচ খেলোয়াড় তাদের হয়ে খেলবে এবার। প্রশ্ন॥ গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও পেরুকে নিয়ে কি ভাবছেন? মারউইক ॥ আমি আপনাকে নতুন কিছু বলব না। কারণ এটা খুবই কঠিন গ্রুপ আমাদের জন্য। এই বিশ্বকাপে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ। বিশেষ করে ফ্রান্স খুবই কঠিন দল। আমরা তাদের গত মার্চে কলম্বিয়ার বিপক্ষে হওয়া ম্যাচটির কিছু অংশ দেখেছি। তারা খুবই ভাল দল এবং বড় সুযোগ আছে বিশ্বকাপ জেতার। তাদের দলে দ্রুতগতি সম্পন্ন, সৃজনশীল এবং শারীরিকভাবে দারুণ শক্তিশালী কিছু খেলোয়াড় আছে। এই মুহূর্ত বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কাইলিয়ান এমবাপে আছে তাদের দলে। প্রচুর অস্ত্র মজুদ আছে তাদের। কিন্তু এসব কখনোই প্রমাণ করেনা যে তাদের বিরুদ্ধে কোন ফল বের করে আনা যাবে না। আমি অন্য দুই দলের বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক নই। কারণ, আমরা মূলত একটি বিষয়ের ওপরই মনোযোগ দিচ্ছি এবং সেটা হচ্ছে ফ্রান্সের বিপক্ষে আমাদের প্রথম ম্যাচটি নিয়ে। আমাদের গোল ঠেকাতে হবে এবং আমি মনে করি সেই সুযোগ আমাদের আছে। যদি সেটা না পারি সেক্ষেত্রে কোচিংয়ের চাকরিটাই হয়ত করব না এখানে। প্রশ্ন ॥ কোন বিশ্বকাপ কি আপনার মনে এখনও ছাপ ফেলে আছে? মারউইক॥ আমি ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ এখনও মনে করি। তারপর জার্মানিতে ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ অবশ্যই বিশেষ কিছু ছিল। সেবার আমরা দ্বিতীয় হয়েছিলাম। আর ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপও মনে পড়ে যেখানে আমাকে নেয়া হয়েছিল কিন্তু ইনজুরিতে পড়েছিলাম।
×