ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দু মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া সাত সন্তানের মধ্যে মারা গেল চার

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৭ মে ২০১৮

দু মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া সাত সন্তানের মধ্যে মারা গেল চার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হসপিটালে দু মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া সাত সন্তানের মধ্যে চারজন মারা গেছে। বাকি তিনজনের দু জনকে বাসায় নেয়া হয়েছে এবং একজন এখনও হাসপাতালে রয়েছে। সুইটি খাতুনের গর্ভের তিনজন নবজাতকই মারা গেছে। ২৪ মে সন্ধ্যা ৭টায় ৭০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে, ২৬ মে ভোর রাত ৯০০ গ্রামের ছেলে ও ওদিন সকাল একটায় ৯০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে মারা যায়। অন্যদিকে সনিয়া আক্তারের গর্ভে জন্ম নেয়া চার নবজাতকের দু জন সুস্থ হয়ে ওঠায় গত বৃহস্পতিবার তাকে ছুটি দেয়া হয়। অপর দুই নবজাতকের একজন বৃহস্পতিবার মধ্যে রাতে মারা যায় এবং অপরজন এখনও হাসপাতালে রয়েছে। বাসায় ফিরে যাওয়া দুই নবজাতকের একটি ছেলে ও মেয়ে শিশু। সুইটি খাতুনের তিন নবজাতকের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ রোজিনা আক্তার বলেন, সুইটি খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া নবজাতকদের বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা করে হয়েছে। তবে সুইটি খাতুনের নবজাতকেরা অনেক বেশি প্রিমেচ্যুর ছিল। সুস্থ নবজাতক জন্ম নেয়ার বয়স গর্ভ ধারণের চল্লিশ সপ্তাহ। সাধারণ ২৮ সপ্তাহ হলেও নবজাতকদের বাঁচানো যায়। দুর্ভাগ্য সুইটি খাতুনের গর্ভ ধারণের মাত্র ২৬ সপ্তাহ পর প্রসব নবজাতক প্রসব করেন। তিনি আরও বলেন, সাধারণত ২ কেজি ৫০০ গ্রামের ওজন নিয়ে নবজাতক জন্ম নিলে ভাল বলা হয়। এর নিচে একটু কম হলেও নবজাতক বাঁচানো যায়। কিন্তু আমাদের এখানে এক সঙ্গে দু মায়ের নবজাতকেরা খুব কম ওজন নিয়ে জন্ম হয়েছে। সোনিয়া খাতুনের একজন নবজাতক মারা যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোনিয়া খাতুনের চারজন নবজাতক একটু সুস্থ ছিল। তবে তাদের দু জনের রক্ত মায়ের রক্তের সঙ্গে মিল ছিল। বাকি দু জনের রক্তের মিল নেই। মিসেস সোনিয়ার রক্তের গ্রুপ-ও পজিটিভ। মারা যাওয়া ও হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছে এ দু জনের রক্তের গ্রুপ-বি পজিটিভ । এ কারণে তাদের রক্ত ভেঙ্গে গিয়ে সাদা হয়েছে। ফলে একজন মারা গেছে। উল্লেখ্য, ২১ মে রাজধানীর ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডে একদিনে দু মায়ের গর্ভ থেকে সাতটি নবজাতকের জন্ম হয়। সোমবার রাত বারটার দিকে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ কানিজ ফাতেমার অধীনে প্রসূতি মা সোনিয়া আক্তারের গর্ভে চারটি ও সোমবার বিকেলে অধ্যাপক ডাঃ রুমানা শেখের অধীনে সুইটি খাতুনের গর্ভে অপর তিন নবজাতক জন্মগ্রহণ করে।
×