স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মণিরামপুরের ঢাকুরিয়ায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বসতভিটা দখল করতে গিয়ে রোকেয়া বেগম (৬০) নামের এক বিধবা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ধারণকৃত ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে ৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার রোকেয়া বেগম। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ঘটনার মূলহোতা শহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। শহিদুল ঢাকুরিয়া গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে।
হামলার শিকার ওই নারী ও তার স্বজনরা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর প্রায় ৪০ বছর ধরে ঢাকুরিয়ায় পিতা বদিউজ্জামানের বাড়িতে ঠাঁই হয় রোকেয়ার। রোকেয়া ও তার দুইভাই বহুবছর আগে খালেক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি কিনে সেখানে বসবাস করে আসছেন। রোকেয়াদের বসতবাড়ি ঘেরা একখন্ড জমি রয়েছে ফয়জুল্লা নামের এক ব্যক্তির। বছর দুই আগে শহিদুল ওই জমিটি ক্রয় করে। গত সোমবার বেলা ১০ টার দিকে ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী নিয়ে শহিদুল ওই জমি দখল দিতে যায়। কেনা জমি দখলের নামে সে বিধাব রোকেয়ার উঠানের জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাধা পড়লে শহিদুল গংরা রোকেয়াকে মারপিট করেন। যার ধারণকৃত ভিডিও চিত্র রয়েছে।
রোকেয়ার স্বজনদের দাবি, তাদের বসতভিটা সংলগ্ন যে জমিটি শহিদুল ক্রয় করেছেন, সেই জমি তারা কেনার জন্য আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন। তারা ন্যায্যমূলে শহিদুলের কাছ থেকে ওই জমি ক্রয় করতে চাচ্ছেন। শহিদুল ওই জমি তাদের কাছে বিক্রি করবেন বলে সম্প্রতি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে একটা সমঝোতাও হয়েছিল। তারপরও শহিদুল সেটা উপেক্ষা করে বাইরের এলাকা থেকে গুন্ডা ভাড়া করে এনে সোমবার ওই জমি দখল দিতে যেয়ে আমাদের মারপিট করে।
এই ঘটনায় রোকেয়া বাদি হয়ে শহিদুলসহ তবিবর, ইউসূফ, বাবু, আহাদ, রবিউল, মোস্তাক ও কৃষ্ণ নামের আট জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
তবে শহিদুলের পক্ষের লোকজনের দাবি, ওই জমি বিক্রির জন্য পূর্বের মালিক ফয়জুল্লাহ রোকেয়া ও তার শরিকদের কাছে গেছেন। তারা প্রায় ১৫ দিন তাকে ঘুরিয়েছেন কিন্তু জমি কেনেননি। পরে সেই জমি শহিদুলের কাছে বিক্রি করেন তিনি। শহিদুল তার নিজের জমি দখল দিতে গেলে ওরা বাধা দেয়ায় গোলযোগ হয়।
মণিরামপুর থানার এসআই জুয়েল রানা বলেন, ‘বিধবাকে মারপিটের ভিডিও দেখার পর মামলা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শহিদুল নামের একজন আটক রয়েছেন।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: