ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৬ মে ২০১৮

বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দেশের বিভিন্নস্থানে বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু এবং একজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকসহ চারজনের মৃত্যু হয়। দিনাজপুরের কাহারোলে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা ও স্টাফ রিপোর্টার এ খবর পাঠিয়েছেন। পীরগঞ্জ, (ঠাকুরগাঁও) ॥ শুক্রবার সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার পাটুয়াপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে ১ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত মোবারক আলী (৫০) মসজিদে নামাজ আদায় করে নিজ বাড়িতে জানালার পাশে বিশ্রাম করছিল। প্রচন্ড ঝড় ও ভারি বর্ষণে তার ঘরে বজ্রপাত হয়। ঘটনাস্থলেই মোবারক আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের কাহারোলে বজ্রপাতে মোঃ সফিকুল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে লিচুর বাগান পাহারা দেয়ার সময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহত সফিকুল উপজেলা মুকুন্দপুর ইউপির হাতিশা গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে। এ দিকে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তাৎক্ষণিক দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ হতে নগদ বিশ হাজার টাকা মৃত সফিকুল ইসলামের পরিবারকে অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। ঠাকুরগাঁও ॥ জেলায় শুক্রবার পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় গৃহবধূসহ তিনজনের মৃত্যু ও ছয়জন আহত হয়েছে। জেলার রানীশংকৈল উপজেলার গোগোর পটুয়াপাড়া গ্রামের মোবারক আলী (৫৫) সকালে বৃষ্টির মাঝে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় গরু-ছাগলকে খাবার দিতে যান। ওই সময় বৃষ্টির সঙ্গে বিজলি চমকাতে থাকলে মোবারক আলী ঘরের জানালা বন্ধ করতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া লঘুচাদ গ্রামের নইম উদ্দীন (২৬) পরিবারের লোকজনসহ বোরো ধান কাটতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে তারা রাস্তার পাশে শরিফন নেছা নামে একজনের বাড়িতে ওঠে। ওই সময় বজ্রপাতে শরিফন নেছা (৪০) ও নইম উদ্দীন (২৬) ঘটনাস্থলেই মারা যান। নইম উদ্দীনের ভাই মইন উদ্দীন ও তার মা রোকেয়া বেগম (৩৫) আহত হন। বজ্রপাতে নিহত শরিফন নেছা লঘুচাদ গ্রামের বাবলুর স্ত্রী এবং নইম উদ্দীন আশানুরের ছেলে। এ ছাড়া বজ্রপাতে রানীশংকৈল উপজেলার সন্ধারই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে কুলসুম বেগম (১৪), কলেজপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আমিনুর রহমান (৩০), হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আলেমা (৪০), চৌরঙ্গী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে লিমা (১০) বজ্রপাতে ঝলসে গিয়ে আহত হয়েছেন। আহতদের রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ ফিরোজ।
×