ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার সীমান্তে থামছে না ইয়াবার চালান

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৬ মে ২০১৮

মিয়ানমার সীমান্তে থামছে না ইয়াবার চালান

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান চালাকালেও ইয়াবার চালান আনছে মিয়ানমার থেকে। টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ উত্তরপাড়ার সুপারি বাগান থেকে শুক্রবার সকালে বিজিবি ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার টেকনাফ সীমান্তে পৃথক অভিযানে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার মূল্যের ১ লাখ ৩০ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। এছাড়া একই দিন সাবরাংয়েও বিজিবি ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। সীমান্ত থেকে মিয়ানমারে কেউ ইয়াবা আনতে গেলে সেখানে তার কোন ধরনের বৈধতা লাগে না। রোহিঙ্গারা আশ্রয় শিবির থেকে প্রায় সময় স্বদেশে গিয়ে ইয়াবার চালান আনছে। এতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী পুলিশ (বিজিপি) কোন বাধা দেয় না বলে জানা গেছে। দেশজুড়ে ইয়াবাসহ মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকায় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করছেন সাধারণ জনগণ। তবে কিছু কিছু গডফাদার কতিপয় অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শে গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবরাং -এর আকতার কামাল মেম্বার ছাড়া উখিয়া টেকনাফ সীমান্তে এখনও পর্যন্ত বড় মাপের কোন ইয়াবা কারবারি আটকের খবর পাওয়া যায়নি। ইয়াবা গডফাদাররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। অথচ মিয়ানমারের প্রায় ৩৮টি ইয়াবা কারখানায় উৎপাদিত ইয়াবার চালান আসে ওসব গডফাদারের মাধ্যমে। কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার গোপন মদদ থাকায় ওসব গডফাদারকে আটক করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযোগ রয়েছে, টেকনাফ ও উখিয়া থানায় কর্মরত থাকাকালীন যেসব পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ইয়াবা কারবারিদের সখ্য ছিল, তারা বর্তমানেও সম্পর্ক ভোলেনি। দেশের যে প্রান্তে থাকুক ওই অসৎ পুলিশের সঙ্গে হরদম যোগাযোগ, মুঠোফোনে টাকা পাঠানো ইত্যাদি বজায় রেখেছে ইয়াবা গডফাদাররা। বর্তমানে দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে ওসব গডফাদার তাদের কাক্সিক্ষত পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শে গা ঢাকা দিয়ে আছে। আবার কেউ কেউ রোহিঙ্গা শিবিরে রাত কাটাচ্ছে। উখিয়ার মাহমুদুল করিম, বালুখালীর জাহাঙ্গীর, জয়নাল, রহমতের বিলের কলিম উল্লাহ ওরফে লাদেন, নুরুল আমিন মেম্বার, জয়নাল মেম্বার, মরিচ্যার বাবুল মেম্বার ও মোস্তাক মেম্বারসহ একাধিক গডফাদার কোথায় অবস্থান করছে উখিয়া থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভালভাবে জানেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমার টু চট্টগ্রামভিত্তিক একাছত্র ইয়াবা কারবারের গডফাদার সাইফুল করিম ওরফে হাজী সাইফুল করিম চট্টগ্রামে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে আছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, সীমান্তের ইয়াবা গডফাদার হিসেবে পরিচিত হলেও তারা বর্তমানে জনপ্রতিনিধি। তাই প্রশাসন তাদের কিছুই করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন একাধিক মেম্বার-চেয়ারম্যান।
×