ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন করে জলাবদ্ধতা নিরসন

মাদারীপুরে পরিত্যক্ত জমিতে ১৩শ’ টন ধান উৎপন্ন

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২৬ মে ২০১৮

মাদারীপুরে পরিত্যক্ত  জমিতে ১৩শ’ টন  ধান উৎপন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৫ মে ॥ পরিত্যক্ত জমিতে ১ হাজার ৩শ’ টন ধান উৎপন্ন করেছে স্থানীয় কৃষকরা। রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি ও দীঘিরপাড় মৌজার প্রায় ১ হাজার বিঘা জমি সারা বছর জলাবদ্ধতার কারণে পরিত্যক্ত থাকত। চলতি বছর স্বেচ্ছাশ্রমে জমির পাশ দিয়ে একটি খাল খনন করায় জলাবদ্ধতা কেটে যায়। ফলে ওই অনাবাদী জমিতে ধান চাষ করে স্থানীয় কৃষকরা। ধান উৎপাদনে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা দারুণ খুশি। ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া গেলে প্রায় দেড় কোটি টাকার ধান বিক্রি হতে পারে বলে তাদের ধারণা। জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি ও দীঘিরপাড় মৌজার এক হাজার বিঘা জমি সারা বছর জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ সম্ভব ছিল না। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় কিছু যুবক জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বেচ্ছাশ্রমে ৭শ’ ফুট দৈর্ঘ্য একটি খাল খনন করে। এতে জলাবদ্ধতা নিরসন হয় এবং সারা বছর অনাবাদী থাকা এক হাজার বিঘা জমিতে ধানের চাষ করে স্থানীয় কৃষকরা। দীঘিরপাড় এলাকার কৃষক সুধাংশু মজুমদার বলেন, ‘বিলের মধ্যে আমার তিন বিঘা জমি সারা বছরই পানির নিচে তলিয়ে থাকত। এ বছর সবাই মিলে খাল কাটার কারণে ধান চাষ করতে পেরেছি। আমার বিঘা প্রতি ৪০/৫০ মণ ধান হয়েছে। যা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।’ একই এলাকার কৃষক দীপক দত্ত বলেন, ‘আমার বিঘা প্রতি ৫৫ মণ করে ধান উৎপন্ন হয়েছে। এখন বাজারে ধানের দাম কম। কয়েক মাস পরে ধানের দাম বৃদ্ধি পেলে পরে বিক্রি করব।’ আড়ুয়াকান্দি গ্রামের কৃষক দিপু গাইন বলেন, ‘জন্মেও পর থেকে আমি এই বিলে সারা বছরই জল দেখেছি। এ বছর খাল খনন করায় সবার মুখে হাসি ফুটেছে। জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ায় কৃষি বিভাগ থেকেও ধানের চারা রোপণসহ নানা বিষয়ে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে।’
×