ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছবির গল্প

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ২৫ মে ২০১৮

ছবির গল্প

ক্ষুদে ব্রুস লি রুইসে রুইজি। জাপানের হনশু দ্বীপের নারা শহরের আট বছর বয়সী এক শিশু। যে বয়সে তার আর দশটা শিশুর মতো নানা রকম খেলাধুলায় মেতে থাকার কথা, সেই বয়সে এই শিশুটি মেতে রয়েছে মার্শাল আর্টের নানা রকম ভয়ঙ্কর কৌশল রপ্ত করার নেশায়। কারণ সে স্বপ্ন দেখে, বড় হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্শাল আর্ট শিল্পী ব্রুস লির মতো হবে। শুধু স্বপ্ন দেখেই ক্ষান্ত হয়নি এই জাপানি শিশু। ব্রুস লির মতো শারীরিক অবয়ব গড়ে তোলার জন্য সে প্রতিদিন গড়ে চার ঘণ্টা করে নিজেকে কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত রেখেছে। ফলে এই শিশু বয়সেই তার শারীরিক গড়নে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। রুইসে রুইজির এই স্বপ্ন ও প্রতিভার ঝলক প্রথম দেখা যায় তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওর মাধ্যমে। ওই সময়ে ছোট এই শিশুটির হাতে নান চাকু ঘোরানোর কৌশল দেখে সবাই প্রশংসা করেছিলেন। সেই প্রশংসা এখন মুগ্ধতায় রূপ নিয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে তার ভক্তের সংখ্যা প্রায় চার লাখ। রুইসের ইজির এই স্বপ্ন সম্পর্কে তার বাবা বলেন, ‘মাত্র এক বছর বয়স থেকেই সে ব্রুস লির সিনেমা মুগ্ধ হয়ে দেখতো। তখন থেকেই শুরু। এরপর একটু একটু করে নিজেকে সে প্রস্তুত করছে। প্রতিদিন সকাল ৬টায় তার প্রশিক্ষণ শুরু হয়। চার ঘণ্টা টানা প্রশিক্ষণ শেষে সে স্কুলে যায় এবং ফিরে এসে আরও ঘণ্টা দুয়েক ঘাম ঝরায়।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুইসেরুইজি ব্যাপক প্রশংসা পেলেও অনেকেই তার বাবার সমালোচনা করেছেন। এত অল্প বয়সে মার্শাল আর্টের মতো একটি ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অর্জনে রুইজিকে উৎসাহ দেয়ার জন্য কেউ কেউ তার বাবাকে দোষারোপ করেছেন। মাত্র বত্রিশ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো ব্রুস লি তার চোখ ধাঁধানো মার্শাল আর্ট কৌশল দিয়ে বিশ্ব জয় করেছিলেন। এখনও বিশ্বের কোটি কোটি মার্শাল আর্টপ্রেমী তরুণ তার মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তবে জাপানি বালক রুইসে রুইজি এই স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে সবার থেকে এক ধাপ এগিয়ে। পানির নিচে হোটেল চারদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি। তাতে বিচরণ করছে হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছ ও জলজ প্রাণী। এরই মাঝে আপনি বিলাস বহুল হোটেলের নরম বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে আছেন। যারা ভাবছেন এটা নিছক কল্পনা, তাদের কল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে এগিয়ে এসেছে কনরাড মালদ্বীপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মালদ্বীপের রাংগালি দ্বীপে সমুদ্রের নিচে তারা চালু করতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম আ-ার সি হোটেল। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আরও কয়েকটি আ-ার সি হোটেলের কথা শোনা গেলেও সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে এটাই প্রথম পরিপূর্ণ হোটেল। প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই হোটেলটি। দ্বিতল এই হোটেলের একটি তলা সমুদ্রের ওপরে এবং একটি পানির নিচে। নিচের তলায় থাকবে ১৬ ফুট আয়তনের বেডরুম সঙ্গে বাথরুম। এটি এমনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে, যেন অতিথিরা অনুভব করতে পারেন রাতে তারা মাছের সঙ্গেই ঘুমাচ্ছেন। এছাড়াও ওপরের তলা বরাদ্দ থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। হোটেল কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের শেষের দিকে হোটেলটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। শাহিদুল ইসলাম
×