ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতারকের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব ১৬ পরিবার

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৫ মে ২০১৮

প্রতারকের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব ১৬ পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মাছের ঘের ও মুরগির ফার্মে শেয়ার রাখার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন কৌশলে গ্রামের সহজসরল ১৬টি দিনমজুর পরিবার প্রধানকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করিয়ে পুরো টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করেছে এক প্রতারক। বর্তমানে এনজিও’র কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য ওই দিনমজুর পরিবারগুলোকে চাপ অব্যাহত রাখা হয়েছে। দিনমজুর পরিবারগুলোর যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা সেখানে এনজিও’র কিস্তির টাকা যোগার করতে না পেরে এখন দিশেহারা হয়ে অসহায় পরিবারের প্রধানরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পাংশা গ্রামের। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের শ্যালক পাংশা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মোতাহার হোসেন মৃধার পুত্র ইসমাইল হোসেন বাবলু (৪০) দীর্ঘদিন থেকে মাছের ঘের ও মুরগির ফার্মের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। প্রায় একবছর পূর্বে বাবলু তার ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য গ্রামের নিরীহ দিনমজুর পরিবার প্রধানদের তার ব্যবসা বৃদ্ধি করে শেয়ার রাখার কথা বলে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলন করে দেয়ার প্রলোভন দেখায়। পাংশা গ্রামের হাবিবুর রহমান তালুকদারের পুত্র দিনমজুর রুবেল তালুকদার জানান, বাবলু তার মা রাজিয়া বেগম, বোন শিউলী ও লাকি বেগমের মধ্যস্থতায় তাকে এনজিও আশা ও জাগরণ অফিসে নিয়ে ৬৫ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করিয়ে পুরো টাকা ব্যবসায়িক কাজে ব্যয় করার কথা বলে হাতিয়ে নেয়। একইভাবে কৌশলে মাত্র একমাসের মধ্যে গ্রামের নুর ইসলাম তালুকদারের নামে কারসা এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা, বাকপ্রতিবন্ধী আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সালমা বেগমকে দিয়ে দুটি এনজিও থেকে ৪৫ হাজার টাকা, ইব্রাহীম খলিলের নামে দুটি এনজিও থেকে ৬৫ হাজার, একাধিক এনজিও থেকে পলাশ তালুকদারের নামে ১ লাখ ২৫ হাজার, কাওসার মৃধার নামে ১ লাখ ৬৫ হাজার, আলমগীর মৃধার নামে ৬০ হাজার, ইসমাইল মৃধার নামে ৬০ হাজার, আলতাফ তালুকদারের নামে ৪০ হাজার, ইসমাইল তালুকদারের নামে ৬০ হাজার, ফজলুল হকের নামে ৫০ হাজার, কাঞ্চন সরদারের নামে ৬০ হাজার টাকাসহ ১৬ জন দিনমজুর পরিবার প্রধানকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করিয়ে পুরো টাকা হাতিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ১৬টি দিনমজুর পরিবার প্রধানের নামে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা উত্তোলনের পর পুরো টাকা হাতিয়ে নিয়ে অতিগোপনে একমাসের মধ্যে পূর্বের ব্যবসা গুটিয়ে স্ত্রী ও সন্তানসহ গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপন করে ইসমাইল হোসেন বাবলু।
×