ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় সন্তানকে খুনের ভয় দেখিয়ে হোটেলে আটকে গৃহবধূকে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৫ মে ২০১৮

কলাপাড়ায় সন্তানকে খুনের ভয় দেখিয়ে হোটেলে আটকে গৃহবধূকে গণধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ২৪ মে ॥ কলাপাড়ায় দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে পৌর শহরের আবাসিক হোটেল জিদানের একটি কক্ষে আটকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। দুই বছরের শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে খুনের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, পালাক্রমে ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে ভিক্টিমকে হোটেল থেকে লালুয়ার চান্দুপাড়া গ্রামের বাড়িতে যেতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করতে দেয়া হয়নি। বাড়িতে একধরনের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সর্বস্ব হারানো এ গৃহবধূ ঘটনার ১০দিন পরে থানায় গেলে অভিযোগ নেয়া হয়নি বলে তার অভিযোগ। কোন উপায় না পেয়ে ২১ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পটুয়াখালীতে শাহীন প্যাদাসহ আটজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, সেলাই মেশিনে এলাকার মানুষের পোশাক তৈরির কাজ এবং স্বামীর দিনমজুরির আয় দিয়ে সংসার চলছিল নির্যাতিত মহিলার। ৯ মে কাপড়-চোপড় কেনার জন্য গ্রাম থেকে কলাপাড়া শহরের যায়। একই সঙ্গে একই গ্রামের পরিচিত সিপি চৌকিদার তার সঙ্গে কলাপাড়ায় যাচ্ছিল। পথে ওই মহিলার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন বিশ্রামের কথা বলে হোটেল জিদানের দোতলার একটি কক্ষে নিয়ে বসায় ওই গৃবধূকে। কিন্তু দলিলের কাজে ব্যস্ত থাকার কথা বলে সটকে পড়েন সিপি চৌকিদার। ওই জায়গায় আগেই অবস্থান করছিল চান্দুপাড়া গ্রামের জামাল গাজী। ফোনে তার সহযোগীদের খবর দেয়। এরই মধ্যে হঠাৎ বেলা একটার সময় রুমের মধ্যে প্রবেশ করে প্রথমে শাহীন প্যাদা গৃহবধূকে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। এরপরে পালাক্রমে অন্যরা ধর্ষণ করে। সাতক্ষীরায় ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ধর্ষণের দায়ে সুকুমার মৃধা নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ আদেশ দেন। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলি গ্রামের কমল মৃধার ছেলে সুকুমার মৃধা ২০০৩ সালে একই গ্রামের প্রভাষ চন্দ্র মাঝির বাড়িতে রাতে কেউ না থাকার সুযোগে তার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে দেব-দেবীর শপথ নিয়ে বিয়ের আশ^াস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সুকুমার মৃধা ঈশ^রীপুরের একটি মন্দিরে নিয়ে তাকে সাজানো (ভুয়া) বিয়ে করে। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্ব¡া হয়ে পড়ে মেয়েটি। কিন্তু পরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে সুকুমার মৃধা। পরে তার একটি ছেলে সন্তান হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মীমাংসা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেননি। উপায়ান্তর না পেয়ে মেয়েটি সুকুমার মৃধা, তার বাবা কমল মৃধা ও মা করুনা মৃধার নামে কোর্টে মামলা করেন।
×