ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার অগ্রগতি যথাসময়ে জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ২৪ মে ২০১৮

তিস্তার অগ্রগতি যথাসময়ে জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিডিনিউজ ॥ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জট খোলায় অগ্রগতি আছে বললেও তা জানালেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর নিয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এলে বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সফরে তিস্তা বিষয়ে তিনি বলেন, অগ্রগতি হচ্ছে, যথাসময়ে জানতে পারবেন। অর্ধযুগ আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় মমতা ব্যানার্জীর আপত্তিতে ঝুলে যাওয়ার পর তিস্তার জট আর খোলেনি। নয়া দিল্লীতে পালাবদলে ক্ষমতায় আসা বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও আশা দিলে এখনও মমতাকে রাজি করাতে পারেননি। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য তিস্তার পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দ্বিপক্ষীয় যে কোন বৈঠকেই ঢাকার পক্ষ থেকে নয়া দিল্লীকে তাগিদ দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল (২৫ মে) ভারত যাচ্ছেন। মোদির আমন্ত্রণে এই সফর বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাও থাকবেন। পরদিন আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রী দেয়া হবে বলে জানান মাহমুদ আলী। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ বাংলাদেশ এখন যে রোহিঙ্গা সঙ্কট সামলাচ্ছে, ভারতে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় আঞ্চলিক সমস্যার এই বিষয়টিও উঠবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যে যাবে তারা থাকবে কোথায় বাড়ি ঘর তো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অভ্যর্থনা ক্যাম্পে বড়জোর দুই- একদিন থাকতে পারে। কাজেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বাড়ি, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং স্কুল তৈরি করতে হবে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে অবকাঠামো তৈরিতে ভারত সহযোগিতা করছে বলে তিনি জানান। ডিসেম্বরে ভারতের তখনকার পররাষ্ট্র সচিব জয় শংকর মিয়ানমার যান এবং মিয়ানমার ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আড়াই মাস আগে ভারত সরকার অবকাঠামো তৈরির মালামাল মিয়ানমার পাঠিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদী আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন নিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সফল হবেন তারা। তিনি বলেন, আমরা আরও কয়েকটি দেশকে বলেছি, যেমন চীনকে, তারাও সহযোগিতার কথা বলেছেন। ইন্দোনেশিয়াও বলেছে। জাপানও এগিয়ে এসেছে সহযোগিতার জন্য। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সুন্দর ইংরেজীতে বলেছেন, ১৯৭১ সালে আমরা যেমন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এখনও আমরা আপনাদের পাশে আছি।
×