ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিটা কাজই এনজয় করি : পিয়া

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ২৪ মে ২০১৮

প্রতিটা কাজই এনজয় করি : পিয়া

র‌্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ নির্বাচিত হন তিনি। মূলত এরই মাধ্যমে মিডিয়ায় বিচরণ শুরু“তার। ১৯ দেশের প্রতিযোগীকে হারিয়ে ২০১৩ সালে ‘মিস ইন্ডিয়ান প্রিন্সেস ইন্টারন্যাশনাল’ নির্বাচিত হন খুলনার এই মেয়ে। রেদওয়ান রনির হাত ধরে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পিয়ার। ‘চোরাবালি’, ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’, ‘গ্যাংস্টার রির্টান’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। প্রথম বাংলাদেশী মডেল হিসেবে জনপ্রিয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল সাময়িকী ‘ভোগ’-এর প্রচ্ছদেও দেখা গেছে পিয়াকে। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এ মডেল-অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন নাটক ও চলচ্চিত্রে। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাতকার নিয়েছেন- রুহুল আমিন ভূঁইয়া আনন্দকণ্ঠ : সমসাময়িক ব্যস্ততা কি নিয়ে? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : তিন মাস একটানা কাজ করলাম। মাঝে দুইদিন ফ্রি ছিলাম। তবে রমজানের শুরুতে আবার অফিস আর ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ততা শুরু“হয়েছে। যেহেতু রমজান মাস ইফতার পার্টি, মেলা এবং আমাদের একটা কনভেনশন সেন্টার আছে এসব ঘিরেই এখন ব্যস্ত। তাছাড়া নতুন দুইটি ব্যবসা শুরু করেছি সেখানেও একটু সময় দিতে হচ্ছে। চলতি মাসের শেষে দেশের বাইরে যাব ফটোশুট ও শো এর জন্য। আনন্দকণ্ঠ : অভিনয়ে কম দেখার কারণ? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : ভাল কোন কাজ না হলে আমি কাজ করি না। নি¤œ মানের কাজ করে তো নিচে নামতে পারি না! সবকিছু আমার সঙ্গে তো ব্যাটে বলে মিলতে হবে তাহলেই কাজ করব। যদি মনে হয় ভাল কোন চরিত্র পেয়েছি যেটা করলে আমার প্রোফাইলে বলার মতো কিছু যুক্ত হবে তাহলেই আমি কাজ করব। আনন্দকণ্ঠ : অভিনয় না মডেলিং কোনটা বেশি ইনজয় করেন? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : আমি যে কোন কাজ ইনজয় করি। সেটা ছোট হোক বড় হোক সিনেমা হোক কিংবা মডেলিং হোক। প্রত্যেকটি কাজ আমি মন দিয়ে করি। ভাললাগে বলেই করি। না হলে করতাম না। অভিনয়, মডেলিং, বিজনেস, ল প্রতিটা কাজই আমি ইনজয় করি। আনন্দকণ্ঠ : অভিনয়ে আসার জন্য থিয়েটার কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : থিয়েটার চর্চা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন কাজ শিখে আসলে অবশ্যই সেটা প্লাস পয়েন্ট হবে। আমার বেলায় সুযোগ হয়নি। সময়ের কারণে থিয়েটার করতে পারিনি। অনেক বার চেষ্টাও করেছি করার। সময়ের অভাবে আমি এগাতে পারিনি। কিন্তু আমার প্রচেষ্টা ছিল। আনন্দকণ্ঠ : ভবিষ্যতে রাজনীতিতে দেখা যাবে কী? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : ছোটবেলা থেকে আমার রাজনীতি করার ইচ্ছে আছে। আনন্দকণ্ঠ : রাজনীতি আসার প্রবাল ইচ্ছে কেন? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : এটা দুইভাবে দেখতে পারেন। যখন আমি ইনকাম শুরু“করি তখন থেকেই মানুষের জন্য কিছু না কিছু করছি। আবার দেখা গেছে যখন ইনকাম করতাম না তখনও কোন না কোনভাবে কিছু করার চেষ্টা করেছি। রাজনীতিতে আসলে মানুষের জন্য কাজের সুযোগটি বেড়ে যাবে। সেই জায়গা থেকে রাজনীতিতে আসার আগ্রহ। কিছু কিছু মানুষ নিয়ম তৈরি করে। আবার কিছু কিছু মানুষ নিয়ম অনুসরণ করে। মানুষের সেবা করার জন্যই এ প্রবাল আগ্রহ। দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে আছে। আনন্দকণ্ঠ : দেশের বাইরে তো অনেক কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিকভাবে মডেলিং করতে কেমন অনুভূতি হয়? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : আমার সবধরনের কাজ করতে ভাললাগে। কারণ আমি আমার শখ থেকে মডেলিং করি। সেটা লোকাল কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হোক না কেন! মডেলিং ছোট পরিসরেও করতে যেমন উপভোগ করি তেমনি বড় আয়োজনেও। তবে গোছানো কাজ করতে অনেক ভাললাগে। বাইরের কাজগুলো খুব গোছানো। আর দেশের বাইরে বড় কাজ ছাড়া কোন কাজ করিনি। আনন্দকণ্ঠ : অনেকদিন ধরে আপনাকে চলচ্চিত্রে দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : চলচ্চিত্রে কাজ করার আমার খুবই ইচ্ছে। আমি গণহারে কাজ করার পক্ষে না। যে কাজগুলো করব সেগুলো যেন মানসম্পন্ন হয়। সময় নিয়ে অল্প কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করব। কিন্তু ভাল সিনেমায় কাজ করতে চাই। ভাল গল্প পেলে সব কাজ বাদ দিয়ে করব। আনন্দকণ্ঠ : সে ক্ষেত্রে কোন ধারার গল্পে কাজ করতে আগ্রহী? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : কোন ধারা নেই যদি ভাল গল্প পাই। সেটা কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক হতে পারে। সিনেমা তো সিনেমাই। কোন সমস্যা নেই। আনন্দকণ্ঠ : তরুণ প্রজন্মর মধ্যে যারা মডেলিং এ আসতে চায় তাদের জন্য আপনার কি বলার আছে? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : মডেলিং পেশা হিসেবে নিতে চাইলে নেয়া যাবে তবে বলব পাশাপাশি পড়ালেখাটা যেন শেষ করা হয়। যখন মডেলিং এ আসে তখন ইয়াং বয়স থাকে তখন দেখা গেছে পড়াশোনা বাদ দিয়ে এটা করে। সঙ্গে সঙ্গে বলব এটা এমন একটা ক্যারিয়ার যেখানে মানুষ যখন সাকসেস পায় না তখন অন্য পেশায় চলে আসে। আমারও মনে হয় মডেলিংয়ের পাশাপাশি অন্য পেশায় থাকা উচিত। সাকসেস নাও আসতে পারে। সাকসেস ভাগ্যের ব্যাপার। আনন্দকণ্ঠ : রমজানের রান্নার একটা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। উপস্থাপনায় নিয়মিত দেখা যাবে কী? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : উপস্থাপনায় কখনই নিয়মিত ছিলাম না। আমার যে প্রোগ্রামটা ভাল লাগত করতে সেগুলোই করি। পেছনে আমি যে কয়টি করেছি প্রত্যেকটি ভাল ভাল প্রোগ্রাম ছিল। সেটা কর্পোরেট বলেন- আর বিপিএল, প্রথম আলো, চলচ্চিত্র দিবস সব কয়টিই ভাল প্রোগ্রাম। আর রমজানের রান্নার অনুষ্ঠান করার কারণ হচ্ছে এটা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। পুরো থিমটা যদি দেখে তাহলে বুঝবে। নিজের কাছেও অনেক ভাল লাগছে। এবার ঈদে আমার জন্য কোন বাজেট রাখিনি। সব টাকাই ওদের দেব। এটা প্রোগ্রাম এর কেউ জানে না। প্রোগ্রামে যারা আসছে ওদের জন্যই ঈদের কাপড় খাবারের ব্যবস্থা করব। আমার কিছু মডেলদেরও বলছি ওরাও আমার সঙ্গে সহযোগিতা করবে। আনন্দকণ্ঠ : উপস্থাপনা কেমন উপভোগ করেন? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : ভাল। কারণ আমি সেই অনুষ্ঠানগুলোতেই উপস্থাপনা করি যেগুলো আসলে করতে চাই। আমার যেসব কাজ পছন্দ হয় না আমি করি না। কারণ এখানে প্রফেশন থেকে প্যাশন বেশি কাজ করে আমার। আনন্দকণ্ঠ : ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া : ভবিষ্যত পরিকল্পনা সবকিছু ব্যালেন্স করে চলা। অনেক পরিকল্পনা আছে বিজেনস, মডেলিং, অভিনয় নিয়ে সবকিছু যদি ব্যালেন্স করে আগাতে পারি তাহলে পারব ইনশাল্লাহ।
×