ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পেস বোলারদের অনুশীলন শুরু কক্সবাজারে

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৪ মে ২০১৮

পেস বোলারদের অনুশীলন শুরু কক্সবাজারে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পেস বোলারদের নিয়ে আলাদা অনুশীলন হওয়া উচিত। সেটি ঢাকার বাইরে হলে ভাল। কক্সবাজারে হলে ভাল। বিসিবির যেই পরিকল্পনা, সেই কাজ। আজ থেকে পেস বোলারদের নিয়ে কক্সবাজারে হবে অনুশীলন। স্পেশাল পেস বোলিং অনুশীলনের জন্য ১৫ বোলারকে আগেই রাখা হয়েছে। এই বোলারদের নিয়েই শুরু হবে অনুশীলন। চলবে ১ জুন পর্যন্ত। পেস বোলিং অনুশীলনে আছেন আবু জায়েদ রাহি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মোঃ এবাদত হোসেন চৌধুরী, মোঃ ইমরান আলী ইনাম, মোহাম্মদ আবুল হাসান রাজু, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, হোসেন আলী, আবু হায়দার রনি, ইয়াসিন আরাফাত, হাসান মাহমুদ, কাজী অনিক ইসলাম, রবিউল হক, শফিউল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। এ পেসারদের মধ্যে রাহি ও রনি কক্সবাজারে অনুশীলন করতে পারবেন না। তাদের জাতীয় দলের ক্যাম্পেই থাকতে হবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দলে যে আছেন তারা। এছাড়া তাসকিন আহমেদের ‘ব্যাক পেইন’ আছে। তা সেরে ওঠেনি। তিনিও এ অনুশীলনে থাকতে পারবেন না। বাকিরা ঠিকই কক্সবাজারে অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত ৯ মে হাইপারফর্মেন্স ইউনিট (এইচপি) ঘোষণা করে। সঙ্গে স্পেশাল পেস বোলারদের দলও ঘোষণা করে। এইচপি দলে ২৪ ক্রিকেটার ও স্পেশাল পেস বোলারদের দলে ১৫ পেসার আছেন। এইচপি দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে ১৬ সপ্তাহের ট্রেনিং ক্যাম্প হবে। ২৮ মে থেকে শুরু হবে ক্যাম্প। চলবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। পেস বোলারদের নিয়ে যে বিশেষ ক্যাম্প হবে সেটি মঙ্গলবার পেসারদের রিপোর্ট করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে। তবে আসল পর্বটি কক্সবাজারে আজ শুরু হবে। এইচপি দলের ক্রিকেটাররা এবার ঢাকার বাইরেও অনুশীলন ক্যাম্প করবেন। পেসাররা কক্সবাজারে অনুশীলন করলেই ভাল হবে। তাই পেসারদের কক্সবাজারে অনুশীলন করানো হচ্ছে। এইচপি দলের ক্যাম্প নিয়ে হাইপারফর্মেন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয় আগেই জানিয়েছিলেন, ‘এইচপি নিয়ে, দল গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা মে’তে শুরু করব। মে’র শেষদিকে পেস বোলারদের দিয়ে একটা ক্যাম্প শুরু। ওখান থেকে আসার পর কোর স্কোয়াড যেটা এইচপির এবং এখানে এ দলেরও কিছুটা সমন্বয় করে ক্যাম্পটা হবে।’ ক্যাম্প ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তার কথা জানিয়েছিলেন দুর্জয়, ‘একটা প্রস্তাব দিয়েছি যে ঢাকার বাইরে কতটা ক্যাম্প পরিচালনা করা যায়। খেলোয়াড়রা আসলে ঢাকায় থাকলে মনোযোগটা সেভাবে হয় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফিল করি। ক্রিকেট প্লেয়িং নেশন্সগুলোতে গিয়ে যেভাবে দেখেছি এবং একাডেমিতে গিয়েও যেভাবে দেখেছি, এরা সবাই কিন্তু বাইরে ক্যাম্প করে। সারা সপ্তাহ ক্যাম্প করল। উইকেন্ডে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে আবার চলে গেল। ফোকাসটা ক্রিকেটে বেশি থাকে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘সিলেট তৈরি আছে, বিকেএসপি হতে পারে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম একটা অপশন আছে। যেখানে আমাদের অনুশীলন সুবিধাও আছে।’ এবার ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, ফিটনেস ঠিক রাখার পাশাপাশি ক্রিকেট নিয়ে জ্ঞানও দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেই জানিয়েছিলেন দুর্জয়, ‘ক্রিকেট জ্ঞান বাড়ানোর জন্য কিছু কর্মশালা, আলোচনা আয়োজন করব যেন আমাদের সাবেকদের নিয়ে বা বিদেশীদের নিয়ে সঙ্গে আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে তাদের দর্শন শেয়ার করতে পারে, অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে।’ কক্সবাজারে পেস বোলারদের নিয়ে অনুশীলন শুরু করার মধ্য দিয়ে ঢাকার বাইরে অনুশীলন করানো শুরু হয়ে যাচ্ছে।
×