ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যমুনার চরে জলদস্যু আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৪ মে ২০১৮

যমুনার চরে জলদস্যু আতঙ্ক

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার যমুনা তীরে এবার বর্ষা মৌসুমের আগেই বন্যার শঙ্কা। চরগ্রামের মানুষের আরেক আতঙ্ক জলদস্যু। গত ক’ বছর ধরেই এই আতঙ্ক বিরাজমান। এই অবস্থায় চরের লোকজন এবার আগেভাগেই তাদের বাথানের মহিষ, খামারের গরু মূল ভূখ-ের শুকনো ভূমিতে সরিয়ে নিচ্ছে। গৃহস্থরাও গৃহপালিত গরু-ছাগলও স্থানান্তর করছেন। যমুনা নদীপথে জলদস্যুতা রোধে যমুনার চরে পুলিশের একটি তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি দীর্ঘদিনের। ওপর মহলে কাগজপত্র পৌঁছেছে। তদন্তকেন্দ্র আর হয়নি। এই অবস্থায় বর্ষা মৌসুমে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ ও চন্দনবাইশা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ যৌথভাবে টহল দেয়। তারপরও কথা আছে, পুলিশের স্পিডবোট মাঝে মধ্যেই অকেজো হয়ে থাকে। বগুড়ার পূর্বাঞ্চলে ৪শ’ ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি সম্পূর্ণ চর এলাকা এবং ৩টি ইউনিয়ন আংশিক চর এলাকা। মূল ভূখ- থেকে নদীপথে চরগ্রামগুলোর দূরত্ব ২ থেকে ১৮ কিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে জলদস্যুদের টার্গেট থাকে এসব গরু মহিষ। গত ক’ বছরে বর্ষা মৌসুমে নদী পথে ও চরগ্রামে গরু মহিষ লুটের অনেক ঘটনা ঘটেছে। বর্ষা মৌসুমে চর থেকে গরু মহিষ স্থানান্তর করার সময় জলদস্যুরা হানা দেয়। আবার জলদস্যুরা শ্যালো ইঞ্জিনের নৌকায় কোন চরগ্রামে গিয়ে গরু মহিষ লুট করে। সদর ইউনিয়নের বাটিয়ারচর, কাজলা ইউনিয়নের বেড়া, পাঁচবাড়িয়া, বেণীপুর, চরকর্নিবাড়ি ইউনিয়নের শনপোচা, বোহাইল ইউনিয়নের নৈখোলা, কর্নিবাড়ি ইউনিয়নের মিলনপুর, তালতলা, মুলবাড়ি ও চালুয়াবাড়ি সুজালিপাড়া, মিটনার পাড়ায় জলদস্যুদের ডাকাতির ঘটনা বেশি ঘটে।
×