ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৪ মে ২০১৮

সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ লাইটারেজ জাহাজের জেটি নির্মাণ চট্টগ্রাম বন্দরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বহির্বিশ্বে এর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যে কোন অবস্থাতে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত এবং আরও গতিশীল করতে হবে। বুধবার চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরামের এক সভায় কথাগুলো বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ সভায় বন্দরের উন্নয়নে বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী নেতারা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সদরঘাটে ৫টি ও পতেঙ্গা লালদিয়ার চরে ৪টি লাইটারেজ জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের জন্য জেটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করবে। এ কাজটি সম্পন্ন হলে বন্দরে জাহাজ জট হ্রাস পাবে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বহির্বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এক ঘণ্টার জন্যেও কর্মকা-ে বিঘœ সৃষ্টি হয়নি। দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রার স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল এবং এর সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখতে হবে। এ বিষয়ে সরকার আন্তরিক রয়েছে। কন্টেনার ক্লিনিং চার্জ ও লাইটারেজ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস সময়সীমা নির্ধারণসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমাধানের লক্ষ্যে আয়োজিত পোর্ট ইউজার্স ফোরামের এ সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। বক্তব্য রাখেন সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট একেএম আকতার হোসেন, চিটাগাং চেম্বার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এমএ মোতালেব, অঞ্জন শেখর দাশ ও তরফদার মোঃ রুহুল আমিন, বিকেএমইএয়ের সাবেক পরিচালক শওকত ওসমান, শিপিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী, সিএন্ডএফের সহ-সভাপতি সৈয়দুল মোস্তাফা চৌধুরী রাজু ও বন্দর সম্পাদক লিয়াকত আলী হাওলাদার, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের বিশেষ প্রতিনিধি আবদুল করিম, প্রাইম-মুভার ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক এবং আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ প্রমুখ। চট্টগ্রাম পোর্ট ইউজার্স ফোরাম চেয়ারম্যান ও চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শিপিং এজেন্ট কর্তৃক চার্জ আদায়ের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে প্রায়শই স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। লাইটারেজ থেকে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জেটি ও আধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় পণ্য খালাস বিলম্বিত হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান না করে সম্প্রতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত সময়সীমা বাস্তবায়ন করা হলে কার্যক্রম বিঘিœত হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে উল্লিখিত সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ করা জরুরী। তিনি জেটি সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনে জরুরী ভিত্তিতে পন্টুন দিয়ে লাইটারেজের জন্য জেটি নির্মাণ করার গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি এ জেটিসমূহ নির্মিত হলে ভবিষ্যতে মালামাল খালাসের ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে জেটি সংশ্লিষ্ট ট্রাক টার্মিনাল ও বিকল্প সড়ক তৈরিসহ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আগাম পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করার উপর জোর দেন। সভায় আলোচকগণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন নিয়ন্ত্রণ, আইসিডি কর্তৃক প্রাইম-মুভার ও কাভার্ড ভ্যান থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
×