ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাই কঠোর পদক্ষেপ

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৪ মে ২০১৮

চাই কঠোর পদক্ষেপ

রমজানের আগেই চাল, ডাল, ছোলা, মুড়ি, সয়াবিন তেল, খেজুর, চিনি ইত্যাদি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। দফায় দফায় বাড়ে। প্রতি রমজানেই এমন হয়। সংযমের মাসে ব্যবসায়ীদের অসংযম মানুষকে চিন্তিত করে তোলে। সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু কার্যত সুফল আসে না। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন রকম অজুহাত। বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। ভ্যাট ট্যাক্স কমেনি। চাঁদাবাজি তো আছেই। তাই পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয় না। ধরেই নিলাম, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে। কথা হলো রমজানে যে পণ্য বিক্রি হয়। সে পণ্য অনেক আগে ক্রয়কৃত। পণ্যের এলসি রমজানের অনেক আগে খোলা। তখন দাম বাড়েনি। অনুসন্ধান করলে এমনটাই পাওয়া যায়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ব্যবসায়ীরা লোন নিয়ে, ধার করে পণ্যের মজুদ গড়ে তুলছেন। রমজানে যখন চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যাবে। তখন তারা জোটবদ্ধ হয়ে দাম বাড়াবেন। এ জন্য সৃষ্টি করা হবে পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট। এটা নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর এই কুকর্ম চলে আসছে। আমদানি করা পণ্য আসতে সময় লাগে। তাই সঙ্কট সৃষ্টি করলে তাৎক্ষণিক সমাধান নেই। হ্যাঁ সমাধান হতে পারত টিসিবি। যে কয়টি পণ্যের চাহিদা রমজানে খুব বাড়ে। সেগুলো মজুদ গড়ে তুলতে পারলে ভাল হতো। অসাধু ব্যবসায়ীরা সুবিধা করতে পারত না। মজার বিষয় হলো, বাজার মূল্যের চেয়ে টিসিবির বিক্রিত পণ্যের দাম কম থাকে। তারপর জনগণ সেখান থেকে কিনতে উৎসাহী না। কারণ পণ্যের মান, মাপ ঠিক থাকে না। এমনটাই অভিযোগ অনেকের। আবার সব জায়গায় টিসিবির পণ্য পাওয়া যায় না। টিসিবির ডিলাররাও সব পণ্য উত্তোলন করে না। সরকারের কাছে কিন্তু সব হিসাবই থাকে। কোন্ কোম্পানি কোন্ পণ্য কবে কতটুকু কম দামে এলসি করে আনল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু সে তথ্য জানে। তাই যে কোম্পানি জনগণের পকেট কাটে। কম দামে কেনা পণ্য বেশি দামে বিক্রি করে। তাদের ধরা সম্ভব। এ জন্য সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপ দরকার। যা সরকারী সংস্থাগুলোর নেই। শুধু কি তাই। চোখে আঙ্গুল দিয়ে সংবাদপত্রগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেখায়। কারা কত দামে কেনা পণ্য কম দামে বিক্রি করে। কিভাবে জনগণের টাকা লুটে নেয়। রমজানের অনেক আগে থেকেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। টিসিবিকে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি করতে হবে। দ্রব্যমূল্য খুব বড় প্রভাব ফেলে জনগণের মধ্যে। হয়ত তার প্রকাশ দৃশ্যমান হয় না। কিন্তু ভোটের সময় তার প্রভাব ঠিকই পড়ে। দ্রব্যমূল্যে রমজানে বাড়তে না দেয়া সরকারের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। রমজানে সকলেই একটু ভাল খেতে চায়। এই চাওয়াটা অন্যায় নয়। জনগণের চাওয়া পূরণে সরকারকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। শুধু দ্রব্যমূল্যের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। যার কাছে সরকারের অসংখ্য সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোরতর পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবি। বানারীপাড়া, বরিশাল থেকে
×