ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চুক্তি করতে আগ্রহী মিয়ানমার

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ২৩ মে ২০১৮

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চুক্তি করতে আগ্রহী মিয়ানমার

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে মিয়ানমার এবার জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে আগ্রহী। রোহিঙ্গা ফেরত নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমার গত বছরের ২৩ নবেম্বর বাংলাদেশেরে সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। মিয়ানমার বলছে, আমরা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাই। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রত্যাবাসনে গতি আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। এদিকে হিন্দুসহ দুই হাজার ২২৩ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের একাধিক গণমাধ্যমে এ খবর বেরিয়েছে। সূত্র জানায়, রাখাইনে সামরিক অভিযানের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে থেকে দুই হাজার ২২৩ রোহিঙ্গাকে দ্রুত ফেরত পাঠানোর তাগিদ দিয়েছে মিয়ানমার। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা শেষে দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও যৌথ ওয়ার্কিং কমিশনের সদস্য উ কো কো নাইং সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন। সোম ও মঙ্গলবার দেশটির একাধিক সংবাদ মাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে। দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং কমিশনের সদস্য কো কো নাইং গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত কমিশনের বৈঠকে জানিয়েছেন দাবি করে উলেখ করেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা তাদের (বাংলাদেশ) বলেছি প্রত্যাবাসন শুরু করতে। আমাদের প্রস্তুত থাকার কথা তাদের জানিয়েছি। গত সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ ওয়ার্কিং কমিশনের বৈঠকে উ কো কো নাইং বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া আট হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ২ মে এক হাজার এক শরণার্থীকে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এদের বেশির ভাগ মুসলিম (রোহিঙ্গা)। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা ৭৭৪ মুসলিম ও ৪৪৪ হিন্দু শরণার্থীকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে এর আগে সম্মত হয় দুই দেশ। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া খুবই জটিল ও কষ্টসাধ্য বলে মন্তব্য করে কো কো নাইং বলেন, এখনও প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। আমরা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাই। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রত্যাবাসনে গতি আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত প্রায় ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মধ্যে অনেকে জানিয়েছে, নিজ দেশে একদিন না একদিন ফিরে যেতেই হবে।
×