ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টা খোলা বেনাপোল স্থলবন্দর

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২৩ মে ২০১৮

২৪ ঘণ্টা খোলা বেনাপোল স্থলবন্দর

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ আমদানি পণ্যের বাজার সহনশীল রাখতে বেনাপোল স্থলবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বেনাপোল কাস্টম হাউস। তবে ইফতার ও সেহরির সময় মুসলিম ধর্মাবলম্বী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি থাকছে। এ সময় অমুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস সচল রাখার কথা বলা হয়েছে। সোমবার থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠি বন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরেও পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আমদানি পণ্য দ্রুত বাজারজাত করতে গত বছর থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সপ্তাহে সাতদিনে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য শুরু হয়। কিছুদিন এভাবে চলার পর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এ বন্দরে সপ্তাহের ছয়দিন ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সচল রয়েছে। কিন্তু সরকারী ছুটির দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের স্থলপথে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ শতাংশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে হয়। মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম নগরী ও বন্দর কলকাতা থেকে রওনা হয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে। তেমনি প্রায় একই সময়ে বেনাপোল বন্দর থেকে রফতানি পণ্য নিয়ে ট্রাক পৌঁছায় কলকাতায়। কম সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের কারণে ব্যবসায়ীদের এ পথে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় আট হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করছে। মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, রোজার মধ্যেও ভারত থেকে পেঁয়াজ, চাল, মাছসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য প্রচুর পরিমাণে আমদানি হচ্ছে। পরে এসব পণ্য খালাস শেষে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে। এ ছাড়া শিল্প-কারখানায় উৎপাদনকাজে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের আমদানিও স্বাভাবিক রয়েছে। বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, রমজানে ভারত থেকে পচনশীল পণ্য বেশি আসছে। বন্দর থেকে পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস করতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিম জানান, রমজানে দ্রুত পণ্য খালাসে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তায় জোরদার করা হয়েছে বন্দর এলাকায়। পচনশীল পণ্য দ্রুত বন্দর এলাকা থেকে খালাস করে নিতে বলা হয়েছে আমদানিকারকদের।
×