ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ২৩ মে ২০১৮

তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঘুরে দাঁড়িয়েছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট। অডিটে স্বচ্ছতা এনে এবং প্রিভেনটিভ কার্যক্রম জোরদার করে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করেছেন। যেখানে চলতি অর্থবছরে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট দু’হাজার আট শত তিরাশি কোটি টাকা’র ফাঁকি দেয়া রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। জানা গেছে, নিয়ম নীতি’র যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে দূর হয়েছে ইউপি শাখা’র বিশৃঙ্খলা। একই সঙ্গে কমেছে অহেতুক বিড়ম্বনাও। আর অডিট শাখা’র নীবিড় নজরদারি’র কারণে কমেছে বন্ডারদের রাজস্ব ফাঁকি’র মহোৎসব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ হাজার ৬শ’ ৯টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৭শ’ ৫৩টি লাইসেন্সের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অবশিষ্ট ৩ হাজার ৮শ’ ৫৬টি লাইসেন্স সচল রয়েছে। কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের অনুমোদিত ২৮১টি জনবলের বিপরীতে মাত্র ১৮৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ১২টি বিভাগের ৩২টি সার্কেল ২০টি বিভাগে কাজ করছে। যেখানে চলতি অর্থবছরে নিষ্পত্তি হয়েছে ৪ হাজার ৮৩৫টি অডিট আপত্তি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাধারণত বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান বিগত বছরের রফতানির ওপর প্রবৃদ্ধি ধরে ২০ ভাগ প্রাপ্যতা বৃদ্ধির অনুমোদন পান। আর কোন প্রতিষ্ঠান যদি আমদানিকৃত উপকরণ দিয়ে রফতানি পণ্য উৎপাদন করে রফতানি না করে কিংবা উপকরণ খোলা বাজারে বিক্রি করে দেয় তবে ঐ বন্ডার প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানাসহ রাজস্ব আদায় করা হয়। বন্ড প্রতিষ্ঠান আমদানিকৃত উপকরণ দিয়ে রফতানি পণ্য উৎপাদন করছে কিনা তা রফতানি দলিলাদি ও জ্বালানি খরচের প্রদেয় বিল পর্যালোচনা এবং বিচেনায় নিরূপণ করা হয়। সূত্র আরও জানায়, রফতানি দলিলাদি ও জ্বালানি খরচ সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে ধরে নেয়া হয় যে, বন্ডার কর্তৃক বন্ড সুবিধার অপব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত উপকরণ খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জরিমানাসহ রাজস্ব আদায়ের ডিমান্ড জারি করা হয়। বর্তমান কমিশনার ড. আল আমীন প্রামাণিক এই কমিশনারেটে যোগদানের পর দূর হয়েছে দীর্ঘদিনের অনিয়ম দুর্নীতি। বর্তমান কমিশনার ড. আল আমীন প্রামাণিক বলেন, আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
×