ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ২৩ মে ২০১৮

খাগড়াছড়িতে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি সদরের স্বণির্ভর বাজারে আধিপত্য বিস্তারের জেরে পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গ্রুপের মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে বাজারের উত্তর পাশের রাবার কারখানা এলাকা ও চেঙ্গী নদীর পশ্চিম পাড় এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হঠাৎ করে রাবার কারখানা এলাকার ওই দিকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তার কিছুক্ষণ পরে নদীর পশ্চিম পাড় থেকেও গুলির শব্দ আসে। বাজারের ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বিজিবির সদস্যরা এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে বাজারের সবক’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পরিবহনে তল্লাশি করছে পুলিশ ও বিজিবি। ঘটনার পর খবংপুড়িয়া ও স্বর্ণিভর এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বণির্ভর বাজারে ইউপিডিএফ-তাদের প্রতিপক্ষের মধ্যে অর্ধশত রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। কেশবপুরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর যুবদলের হামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ২২ মে ॥ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার রাতে কেশবপুরে শহরে যুবদল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেছে। যুবদলের অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় ৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। ছাত্রলীগ নেতা শাহীন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেশবপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জামাল উদ্দীন সরদারের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শাহীনসহ ৫-৬ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী শহরের বায়সা মোড়ে অবস্থান করছিল। এ সময় যুবদলের নেতা ইব্রাহিম হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ছাত্রলীগ নেতা শাহীন, সোহেল, শামীম ও বিলাল হোসেন গুরুতর আহত হয়। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাবদিয়া গ্রামের ইয়াছিন বিশ্বাসের ছেলে যুবদল নেতা ইব্রাহিম হোসেন, আলতাপোল গ্রামের আলি বিশ্বাসের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, গোপাল বিশ্বাসের ছেলে নান্টু বিশ্বাসকে আটক করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা শাহীন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।
×