ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড্রোন আক্রমণ ঠেকাতে রাশিয়ার পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২৩ মে ২০১৮

ড্রোন আক্রমণ ঠেকাতে রাশিয়ার পরিকল্পনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি সিরিয়া যুদ্ধ এবং এর আগে ইউক্রেনে যে যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছিল রাশিয়া আসন্ন বিশ্বকাপে সেসবই কাজে লাগানোর চিন্তা-ভাবনা করছে রাশিয়া। ইতোমধ্যেই শত্রুদের ড্রোন আক্রমণের আশঙ্কা থেকে বিশ্বকাপ ভেন্যুগুলোকে নিরাপদ করতে জ্যামিং ডিভাইসগুলো স্থাপন শুরু করেছে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। আগামী ১৪ জুন শুরু হবে রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ। আর এমন একটি ফুটবল মহাযজ্ঞে সন্ত্রাসী হামলার একটি আশঙ্কা রয়েছে। ২০১০ সালেই বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে নিশ্চিত হয়েছে রাশিয়ার নাম। এরপর থেকেই বেশকিছু আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে দেশটিতে। উত্তর ককেশীয় কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে এ জন্য দায়ী করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তারা আবার সিরিয়াভিত্তিক আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত তারা। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত কিছু দেশও এ বছর ড্রোন আক্রমণের শিকার হয়েছে। এ কারণে কেউ যদি বিশ্বকাপের সময় এ ধরনের কোন হামলার চিন্তা-ভাবনা করেই, তবে তা ঠেকাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ জন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যেই রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ গত ফেব্রুয়ারিতে ১২টি স্টেডিয়ামের বাইরে জ্যামিং ডিভাইস স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী কয়েক মাস রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ ‘নো ফ্লাইং জোন’ হিসেবে বেশ কিছু এলাকাকে ঘোষণা করেছে। এসব এলাকার আকাশসীমায় কোন উড়োজাহাজ বা অন্যকিছু প্রবেশ করতে পারবে না। এই জ্যামিং ডিভাইসগুলো শুধু ১১টি আয়োজক শহরকেই প্রতিরক্ষা দেবে না, পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের অনুশীলন মাঠগুলো এবং হোটেলগুলোকেও কাভার করবে। সবমিলিয়ে পরিবহন মন্ত্রণালয় ৪১টি স্থানকে নিষিদ্ধ করেছে উড়ন্ত কোন যন্ত্রযানের ক্ষেত্রে। এই চিহ্নিত স্থানগুলোর আশেপাশে প্রয়োজন ভেদে ৫০০ মিটার থেকে শুরু করে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে। তবে ড্রোনের ক্ষেত্রে ১১ আয়োজক শহরের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
×