ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এক হাসপাতালে দুই মা জন্ম দিলেন সাত নবজাতক

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৩ মে ২০১৮

এক হাসপাতালে দুই মা জন্ম দিলেন সাত নবজাতক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিকেলে নরমাল ডেলিভারিতে এক হাসপাতালে এক মায়ের গর্ভ থেকে তিন নবজাতকের জন্ম হয়। এরপর রাতে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ওই হাসপাতালে আরেক মায়ের গর্ভ থেকে সিজারে আরও চার নবজাতকের জন্ম হয়। এই মিলে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে এক হাসপাতালে দুই মায়ের গর্ভ থেকে মোট সাত নবজাতকের জন্ম হয়। সোমবার রাজধানীর মালিবাগে ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে এ সাত নবজাতকের জন্ম হয়। সাত নবজাতকের মধ্যে চারজন ছেলে, আর তিনজন মেয়ে। সিজারের জন্ম নেয়া চারজনের অবস্থা ভাল থাকলেও, স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া তিন নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই তিন নবজাতকের প্রত্যেকের ওজন এক কেজির কম। তিনজনকেই আইসিইউতে দুই জনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের পাবলিক রিলেশন অফিসার সুব্রত ম-ল জানান, সোমবার দিবাগত রাত বারোটার দিকে গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ কানিজ ফাতেমার অধীনে প্রসূতি মা সনিয়া আক্তারের গর্ভ থেকে চারটি ও সোমবার বিকেলে অধ্যাপক ডাঃ রুমানা শেখের অধীনে সুইটি খাতুনের গর্ভ থেকে অপর তিন নবজাতক জন্মগ্রহণ করে। দুই প্রসূতি মা পোস্ট অপারেটিভ বেডে আছেন। হাসপাতালটির গাইনী বিভাগ জানায়, সনিয়া আক্তারের ৪ জন নবজাতকের মধ্যে ছেলে শিশু ৩ জন ও কন্যাশিশু ১ জন। সুইটি খাতুনের গর্ভের ৩ নবজাতকের মধ্যে কন্যা শিশু দু’জন ও ছেলে শিশু ১ জন। সুইটি খাতুনের গর্ভের নবজাতকরা স্বাভাবিক ও সনিয়া আক্তারের গর্ভে জন্ম নেয়া নবজাতকরা সিজারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেন। সনিয়া খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া চারজন নবজাতকের মধ্যে ১ম জনের ওজন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম, ২য় জনের ওজন ১ কেজি ৬০০ গ্রাম, ৩য় জনের ওজন ১ কেজি ৫৬০ গ্রাম ও ৪র্থ জনের ২ কেজি ১০০ গ্রাম। তবে প্রথম নবজাতকের রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়ায় তাকে রক্ত দেয়া হয়েছে। তাদের চারজনকেই ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রোজিনা আক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন নবজাতকরা নিবিড় যত্ম ইউনিটে (এনাআইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুইটি খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া তিন নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিন জনকেই আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এদের ১ম জনের ওজন ৯০০ গ্রাম, ২য় জনের ওজন ৯০০ গ্রাম ও ৩য় জনের ওজন ৭০০ গ্রাম। মঙ্গলবার ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের এ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডের এনআইউসিউর মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ সালাউদ্দিন জনকণ্ঠকে জানান, সুইটি খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া চার নবজাতকের মধ্যে ১ম জনের রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়ায় রাতেই রক্ত দেয়া হয়েছে। অন্য তিনজন নবজাতক তুলনামূলক ভাল আছেন। কিন্তু সনিয়া আক্তারের গর্ভে জন্ম নেয়া তিনজন নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিন নবজাতকের দু’জনকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তাছাড়া তাদের ওজনও কম। এর আগে মিসেস সনিয়া যমজ শিশুর এবরসন হয়েছে। ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হসপিটালে এক সঙ্গে চারজন নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণ করার খবর শুনে রাত বারোটার দিকে হাসপাতালে ছুটে আসেন হাসপাতালটি চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ।
×