ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্পিনবান্ধব উইকেট হলে বাংলাদেশের জন্যও ভাল, যে কোন কন্ডিশনে বাংলাদেশ ভাল দল

আফগানিস্তানকে হারানোর ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ ॥ সুজন

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ২২ মে ২০১৮

আফগানিস্তানকে হারানোর ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ ॥ সুজন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইতোমধ্যেই ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হয়েছে। এই দলটিই আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতের উত্তরখ-ে দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি২০ খেলবে। ৩১ জনের প্রাথমিক দল নিয়ে ফিটনেস ট্রেনিং হয়েছিল। আর চূড়ান্ত দল নিয়ে সোমবার শুরু হলো স্কিল ট্রেনিং। সেই অনুশীলন হচ্ছে টি২০ ম্যাচকে মাথায় রেখেই। বোলিং ও ব্যাটিং অনুশীলন চলছে টি২০ মেজাজে। আফগানিস্তান দলটি টি২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। এ কারণে সিরিজটি নিয়ে বেশ আলোচনাই হচ্ছে। কারণটা, অচেনা কন্ডিশন এবং আফগানদের স্পিন আক্রমণে রশিদ খানও মুজিব-উর-রেহমানের মতো বোলাররা থাকা। তবে সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন দাবি করলেন যেকোন কন্ডিশনেই বাংলাদেশ ভাল দল এবং যদি স্পিনবান্ধব উইকেট হয় সেটাও বাংলাদেশের জন্য ভাল। কারণ বাংলাদেশ অনেক দক্ষতাসম্পন্ন দল এবং সে কারণেই ঠিকমতো দক্ষতা কাজে লাগাতে পারলে যেকোন সময় এবং যেকোন দিন আফগানিস্তানকে হারাতে পারবে বাংলাদেশ এমনটাই মনে করেন খালেদ মাহমুদ। আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ কোর্টনি ওয়ালশ নেই। তিনি সোমবারই ফিরেছেন বাংলাদেশে। আসছে বৃহস্পতিবার থেকে তিনি অনুশীলনে থাকবেন। আগামী মাসের ৩, ৫ ও ৭ তারিখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজ বাংলাদেশ দলের। ৩১ ক্রিকেটার নিয়ে প্রায় সপ্তাহব্যাপী ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর রবিবার ১৫ সদস্যের টি২০ দল ঘোষণা করে বিসিবি নির্বাচকরা বড় কোন চমক ছাড়াই। সোমবার তারা স্কিল ট্রেনিং শুরু করেছে। সেই অনুশীলন নিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘স্কিল শুরু হলো আজ। টি২০ মাথায় রেখেই বোলিং, ফিল্ডিং হচ্ছে। বোলাররা নতুন বলে কি ফিল্ডিং নিয়ে বল করবে, পুরান বলে কি করবে ইত্যাদি। বৈচিত্র্যগুলো কি হচ্ছে। ব্যাটসম্যানদেরও একই, আক্রমণাত্মক খেলার অনুশীলন করছে।’ টি২০ সিরিজের আগেই দেরাদুনে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। আগে কখনও এই মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না হওয়াতে কন্ডিশনের সঙ্গে একটা লড়াই হবে এমনটাও ভাবছেন অনেকে। তাই আগে ভাগে দেরাদুনে যাওয়া সম্ভব কিনা এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যার জন্য আমরা আবার বেশি চাপ নিতে চাই না। অবশ্যই সিরিজটা জিততে হবে। তবে আমাদের খেলোয়াড়দের ইনজুরির ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের কিন্তু অত খেলোয়াড় নেই। তামিম বা মুশি বা সাকিব, মাহমুদুল্লাহ- বড় কেউ চোটে পড়লে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায় আসলে।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামার আগেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের স্পিন আক্রমণ। বিশেষ করে লেগস্পিনার রশিদ খান এবং তরুণ অফস্পিনার মুজিব কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে বাংলাদেশকে। কিন্তু খালেদ মাহমুদ বললেন, ‘আমার মনে হয় না খুব একটা স্পিন ফ্রেন্ডলি উইকেট হবে। আমার মনে হয় উইকেটে বাউন্স থাকতে পারে। আমাদের এখান থেকে যে দেখতে গিয়েছিল শুনলাম যে ঘাস আছে অনেক। আমাদের সিরিজ শুরুর আগে ৭টার মতো ম্যাচ হবে ওই গ্রাউন্ডে। তখন হয়ত ঘাস কমে যাবে। স্পিন ফ্রেন্ডলি হলে আমাদের জন্যও ভাল। ওরাও স্পিনে এত ভাল তা না।’ র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে আফগানিস্তান। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১০ নম্বরে। এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘আমাদের জন্য সিরিজ জেতাটা খুব জরুরী। সিরিজ জিতলেই র‌্যাঙ্কিং আগাবে। আফগানিস্তানকে হারানোর সামর্থ্য আমরা রাখি। যেকোন কন্ডিশনে আমরা ভাল দল। আমরা স্কিলফুল দল। আমাদের ব্যাটিং, বোলিং সব ওদের থেকে ভাল। হ্যাঁ ওদের বিশ্বসেরা স্পিনার আছে। কিন্তু ওদের পুরো দল ভারসাম্যপূর্ণ নয়। আমরা যদি আমাদের শৃঙ্খলা ঠিক রাখি, ভাল ক্রিকেট খেলি তাহলে আমার মনে হয় যেকোন সময়, যেকোন দিন আফগানিস্তানকে হারাতে পারি।’
×