ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে রেলের জমি দখল করে স্থাপনা ॥ দেখার কেউ নেই

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২২ মে ২০১৮

যশোরে রেলের জমি দখল করে স্থাপনা ॥ দেখার কেউ নেই

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের বারীনগর-সাতমাইল বাজার এলাকায় রেলওয়ের জমি ভুল বুঝিয়ে অবৈধ বিক্রি করা হচ্ছে। এমনটি দাবি করে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখানে রেলের কোটি কোটি টাকার জমি প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের দাবিকৃত অর্থ দিলেই রেলওয়ের সম্পত্তিতে বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু দখল কার্যক্রমের দিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তবে মুঠোফোনে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রেলের জমি দখলের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। জানা গেছে, বারীনগর-সাতমাইল ৯৮ দশমিক ৩৪ একর রেলওয়ে বিভাগের জমি রয়েছে। কিন্তু বিশাল এলাকাজুড়ে রেলওয়ের এসব জমির কোন তদারকি করা হয় না। তাই জমিগুলো যে যার মতো দখল করে নিচ্ছে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যানুযায়ী সরেজমিনে দেখা যায়, হৈবতপুর, বারীনগর বাজার গেটসহ বিভিন্ন স্থানের জায়গা দখলে নিয়ে অনেকেই ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন। এসব জায়গা দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা সরকারী জমি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানিয়েছেন, প্রভাবশালী চক্রকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি সরকারী জমিতে ঘরবাড়ি তৈরি করার সুযোগ পেয়েছেন। তাকে বলা হয়েছিল এসব জমি এখন তারা নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই টাকা দিলেই ওই জমিতে বসবাস করার সুযোগ দেয়া হবে। সূত্র জানায়, চক্রটি এভাবে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রেলের জমি দখল দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এসব সম্পত্তি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ার কারণে অবৈধ দখলদাররা পাল্লা দিয়ে দখল করছে। রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ঘরবাড়িতে ফেনসিডিল , ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রিসহ নানা অপরাধ হচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার বেদখল থাকলেও অজ্ঞাত কারণে দখলদারদের বিরুদ্ধে একদিনও কোন অভিযান চালানো হয়নি বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিয়মিত তদারকি করলে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এ সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না বলে সচেতন মহলের অভিমত। রেলওয়ের সদর দফতরের বিভাগীয় ভূমি সম্পত্তি কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সরকারী সম্পত্তির ওপর সব সময় এক শ্রেণীর মানুষের কুনজর পড়ে। রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করার দখলমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বারীনগর এলাকার সম্পত্তি দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×