ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি জমিতে লবণ পানি ॥ আউশ আবাদে শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২২ মে ২০১৮

কৃষি জমিতে লবণ পানি ॥ আউশ আবাদে শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা-চরহালিম বেড়িবাঁধের স্লুইসগেটটি কতিপয় প্রভাবশালী গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছে। তারা মাছ চাষের সুবিধার জন্য ইচ্ছামতো নদীর লবণ পানি দিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে দিয়েছে। এতে করে স্লুইসগেটের আওতাধীন এলাকায় চলতি মৌসুমে আউশ আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্লুইসগেট দিয়ে নদীর লবণ পানি তোলায় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা ও চরহালিম গ্রামের বিস্তীর্ণ কৃষি জমি তলিয়ে আছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় গবাদিপশুর খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চরগঙ্গা ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার দস্তুর ও সাধারণ সম্পাদক বাদল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি প্রভাবশালী চক্র স্লুইসগেট দিয়ে লবণ পানি উঠাচ্ছে। এর ফলে গ্রামের কয়েকশ’ একর কৃষি জমিতে লবণ পানি ঢুকে পড়ায় চলতি মৌসুমে আউশ আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চরগঙ্গা গ্রামের কৃষক ইলিয়াস গাজী অভিযোগ করে বলেন, কৃষকদের সুবিধার বদলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার দস্তুর আর বাদলসহ কয়েকজন নিজেদের সুবিধামতো নদীর লবণ পানি ওঠায়-নামায়। লবণ পানির প্রভাবে অনেক বাড়ির হাঁস-মুরগি মারা যাচ্ছে। গবাদিপশু খাবার পাচ্ছে না। আমি আড়াই একর জমিতে আউশ বীজতলা করবো, কিন্তু ক্ষেতে লবণ পানি থাকায় করতে পারছি না। এবার মনে হয় কেউ আউশ ধান চাষ করতে পারব না। একই গ্রামের আরেক কৃষক লোকমান প্যাদা বলেন, ‘স্লুইসগেট দিয়ে প্রতিদিন লবণ পানি ক্ষেতে ঢোকানো হচ্ছে। পানির সঙ্গে মাছ আসে। এ মাছ ধরে তারা বিক্রি করে। এটাই তাদের ব্যবসা। এর প্রতিবাদ করলে আমাদের হামলা-মামলার হুমকি দেয়া হয়। এলাকার আরও কয়েকজন কৃষক একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। তবে কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তদের অন্যতম আজাহার দস্তুর জানান, তারা লবণ পানি উঠাচ্ছেন না। স্লুইসের চাবি তার কাছে নেই। আর স্লুইসের ভাগ এখনও হয়নি। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর জানান, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী মাছ ধরার জন্য কৃষি জমিতে লবণ পানি উঠাচ্ছে।
×