নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ ॥ গোপালগঞ্জে এ বছর পারটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেডের আশা চীনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় উৎপাদিত হয়েছে এ জাতের প্রায় ১২ মণ বাদাম, যা প্রচলিত জাতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। বাদামচাষীরাও বেশ লাভবান হয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর এলাকার বাদামচাষী ছিকু মোল্লা জানিয়েছেন, তিনি এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ফলন পেয়েছেন ১২ মণ বাদাম। এতে বিঘা প্রতি ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী এতে বিঘা প্রতি ১৫-১৬ হাজার টাকা লাভ হবে। তাই তার দেখাদেখি অনেকেই এ জাতের বাদাম চাষে আগ্রহ হয়ে উঠেছে। কারণ এ এলাকায় বাদামের যে জাতটি প্রচলিত রয়েছে তা প্রতি বিঘায় সর্বোচ্চ পাওয়া যায় ৮ মণ। আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে থাকলে এ জাতের বাদাম চাষে আরও বেশি ফলন পাওয়া যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে পারটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার আকরাম খান বলেছেন, আশা চীনা বাদাম আরও বেশি ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের বীজ গজায় ভাল, গাছ মারা যায় না। অবচয় ও চিটা একেবারেই কম হয়। খোসার মধ্যে বাদামের আকারও তুলনামূলক বড়। যে কারণে এ জাতের বাদাম আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
হিলিতে নিত্যপণ্যের দাম নিম্নœমুখী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের বাজারে দ্রব্যমূল্যের ক্রেতাদের নাগালের বাইরে থাকলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দৃশ্য এখন কিছুটা ভিন্ন। পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও কাচা মরিচের দাম কমেছে। আমদানিকারকরা বলছেন, সরবরাহ বাড়ায় ভারতের বাজারের পাশাপাশি হিলি স্থলবন্দরেও মসলাজাত এসব পণ্যের দাম নিম্নমুখী। রমজান এলেই লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম। কিন্তু এবারে হিলি বন্দরের চিত্রটা পুরোই উল্টো। রোজা শুরুর ক’দিন আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ যেখানে বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। সেখানে দাম কমে এখন তা ১৪ থেকে ১৫ টাকা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: