ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এক মাসে ৫৭

সরকারী হলো আরও ২৪ হাইস্কুল

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২২ মে ২০১৮

সরকারী হলো আরও ২৪ হাইস্কুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরও ২৪ বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করা হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত এক মাসে তিন ধাপে সরকারী হলো ৫৭ বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ দিকে দীর্ঘদিন পর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারী কর্ম কমিশনে (পিএসসি) এক হাজার ৩৭৮ শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, যেসব জেলা ও উপজেলায় সরকারী স্কুল ও কলেজ নেই, সেসব জেলা ও উপজেলায় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারের পর্যাক্রমে বেসরকার বিদ্যালয়কে সরকারী করার আদেশ জারি হচ্ছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৪ বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারী করার আদেশ জারি করে বলা হয়েছে, জাতীয়করণকৃত ২৪টি প্রতিষ্ঠানের কাউকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করা যাবে না। সরকারী হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে-সুনামগঞ্জের ছাতক বহুমুখী মডেল বিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জের জামতৈল ধোপাকান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজবাড়ীর পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জের গজাররিয়া পাইলট মডেল হাইস্কুল, ভোলার বোরহান উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন (এস জে) মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁর বদলগাছী মডেল পাইলট হাইস্কুল। নেত্রকোণার শালিদীঘা গোপাল গোপীনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোণার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর টি আমিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার কলারোয়া জি কে এম কে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। এ ছাড়া রয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল নজরুল একাডেমি, নাটোরের বেগম রোকেয়া উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল, বগুড়ার কাহালু মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিলেটের কাসিম আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর রাজৈর গোপালগঞ্জ কে জে এস পাইলট ইনস্টিটিউশন। কুড়িগ্রামের রৌমারী সি জি জামান উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জের পাগলা মডেল হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ জে কে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং নেত্রকোণার বানিয়াজান সি টি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। এর আগে চলতি মাসের ৭ তারিখে সরকারী করা হয় আরও ১২টি প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে ছিল- সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়, বিশ্বনাথের রামসুন্দর অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার কিশোরীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার খোকসা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দেবহাটা বিবিপি ইনস্টিটিউশন, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আলমডাঙ্গা বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং খুলনার রূপসা উপজেলার কাজদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এ দিকে দেশের ৩৪৩ সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি বেশিসংখ্যক শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে পিএসসিতে এক হাজার ৩৭৮ শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই করতে প্রস্তাব করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে ৫২৯ জন সহকারী শিক্ষকের নামের তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। পদোন্নতির সুপারিশের জন্য এই তালিকা শীঘ্রই পিএসসিতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে ৩৪৩টি সরকারী স্কুলে বিভিন্ন বিষয়ে ১০ হাজার ৩৫০টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। সেখানে কর্মরত আছেন আট হাজার ৮৭ শিক্ষক। আর চলতি বছরের মধ্যে অবসরে যাবেন আরও ৭৫ জন শিক্ষক। এ ছাড়া ৩৫ ও ৩৬তম বিসিএস থেকে মোট ৯৬০ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এর বাইরে শূন্য রয়েছে এক হাজার ৩৭৮টি সহকারী শিক্ষকের পদ। পিএসসিতে পাঠানো প্রস্তাবপত্রে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ বাংলায়। এ বিষয়ে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৬৫ জন শিক্ষক। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্যপদ রয়েছে গণিতে, ২০৫টি পদ। এ ছাড়া ইংরেজী বিষয়ে ১০৬ জন, সামাজিক বিজ্ঞানে ৮৩ জন, ভৌতবিজ্ঞানে ১০ জন, জীববিজ্ঞানে ১১৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় আটজন, ভূগোলে ৫৪ জন, চারু ও কারুকলায় ৯২ জন, শারীরিক শিক্ষায় ৯৩ জন, ইসলাম ধর্মে ১৭২ জন এবং কৃষিশিক্ষায় ৭২ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
×