ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সঙ্গীতশিল্পী স্মৃতিকণা পালের পথচলা

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২১ মে ২০১৮

সঙ্গীতশিল্পী স্মৃতিকণা পালের পথচলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্মৃতিকণা পাল। বাংলাদেশের অন্যতম একজন সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীতশিক্ষক। রেডিও ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের উচ্চ শ্রেণীর একজন নিয়মিত শিল্পী। এ ছাড়া অন্যান্য চ্যানেলেও তিনি লাইভ প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তিনি একজন নিয়মিত শিল্পী। এ পর্যন্ত তার একটি আধুনিক গানের একক এ্যালবাম ‘সুজন ঘরে ফিরে আয়’ এবং তার রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওস্তাদ শ্রী গৌর গোপাল হালদারের সঙ্গে তার দ্বৈত এ্যালবাম ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’ বের হয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত কবিতা থেকে দুইটি দ্বৈত আবৃত্তির এ্যালবাম বের হয়েছে। গুণী শিল্পী স্মৃতিকণা পাল ১৯৭৮ সালে যশোর জেলায় জন্ম জন্মগ্রহণ করেন। যশোর এমএম কলেজ থেকে পড়াশোনা করে বর্তমানে ঢাকার সুপ্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় ইস্পাহানী বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে তিনি সঙ্গীত শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। সঙ্গীত পরিবারেই তার জন্ম। বড় বোন সুপ্রিয় পালের কাছে তার প্রথম হাতে খড়ি। এ ছাড়া যশোরের সুর বিতান সঙ্গীত একাডেমি থেকে তিনি দীর্ঘদিন গান শিখেছেন এবং শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ধ্রুব পরিষদে রবীন্দ্র, নজরুল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ৫ম বর্ষ পার করেছেন। এ ছাড়া তিনি যে সব ওস্তাদের কাছে গানে তালিম নিয়েছেন তার মধ্যে মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ওস্তাদ মোশাররফ হোসেন, গৌর গোপাল হালদার, শাহ্ মোহাম্মদ মোর্শেদ, অখিল বিশ্বাস, সুধীন দাস, সোহরাব হোসেন, খালিদ হোসেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, বিপুল ভট্টাচার্য, সন্জিদা খাতুন, দিল্লীর ওস্তাদ মাসকুর আলী খান (বেঙ্গল ফাউন্ডেশন) প্রমুখ। স্মৃতিকণা পাল সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন পদক পেয়েছেন। সেগুলো হলো ২০১৫ সালে মওলানা আবদুুল হামিদ খান ভাসানী স্মৃতিপদক, ২০১৬ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দী স্বর্ণপদক, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ স্মৃতি পদক ২০১৬, মানবাধিকার শান্তি পদক ২০১৬। তার পারিবারিক জীবনে দুই মেয়ের মা তিনি। তারাও পড়াশোনার পাশাপাশি গানের প্রতি অনুরক্ত। মা-ই তাদের হাতেখড়ি দিয়েছেন। তারাও নিয়মিত টিভি প্রোগ্রামে গা এবং নাটকে অংশগ্রহণ করে আসছে। তার স্বামী বৈদ্যনাথ অধিকারী রবীন্দ্রভারতী থেকে নাটকের ওপর মাস্টার্স করে অভিনয়ের সঙ্গেই যুক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পাশাপাশি বাচ্চাদের গান শেখানো নিয়ে ব্যস্ততম দিন কাটাচ্ছেন। তিনি সবার আশীর্বাদ কামনা করেন।
×