ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে অবৈধ ইটভাঁটি বন্ধ ও মালিককে আটকের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২১ মে ২০১৮

যশোরে অবৈধ ইটভাঁটি  বন্ধ ও মালিককে  আটকের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবহুল এলাকায় তৈরি করা ইটভাঁটির কার্যক্রম বন্ধ এবং তার মালিককে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি রবিবার সকালে সরেজমিনে ইটভাঁটিতে অভিযান চালিয়ে এ নির্দেশ দিয়েছেন। জানা যায়, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মহেশপাড়া বিকেএইচ দাখিল মাদ্রাসার পাশে বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আমিরুল ইসলাম ও জালাল গাজীর ছেলে ওমর আলী ইটভাঁটি স্থাপন করছেন। মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এবং গ্রামবাসী ইটভাঁটি বন্ধের দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর করে যশোর জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ অধিদফতর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বন বিভাগ অধিদফতর, উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তি ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল ইসলাম ও ওমর আলীকে নোটিস করেন এবং আলোচনার ভিত্তিতে তারা উল্লেখিত স্থানে ইটভাঁটি করবে না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করে আসেন। কিন্তু তারপরও ইটভাঁটি স্থাপনের কার্যক্রম চালায়। সেখানে মাটি উত্তোলন ও চিমনি তৈরির কাজ করেছে। সরকারী কোন সড়ক সংলগ্ন বা জনবহুল এলাকা বা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাঁটি স্থাপনের আইন না থাকলেও বাঁকড়া টু বাগআঁচড়া সড়ক ও মহেশপাড়া বিকেএইচ দাখিল মাদ্রাসার পাশে এই ইটভাঁটাটি স্থাপন করা হচ্ছে। এদিকে ইটভাঁটির ভেতরে অনেক কৃষক জমিতে চাষাবাদ করেন। এখনও অনেকের জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ইটভাঁটি স্থাপনের কারণে আগামীতে এসব ফসলি জমিতে ভাল ফসল না হওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় দিন অতিবাহিত করছে কৃষক। সবমিলিয়ে ইটভাঁটি এলাকার জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে। ফলে ভাঁটিটি যেন বন্ধ হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল এলাকাবাসী। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে মুচলেকা দিয়েও কথা রাখেনি ইটভাঁটির মালিক আমিরুল ইসলাম। সেখানে ইটভাঁটি তৈরির সব কার্যক্রম করতে থাকে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পেরে রবিবার তদন্তে আসেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাঁটি না করার জন্য ভাঁটি মালিক লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছিল। তারপরও সেখানে ইটভাঁটি নির্মাণের কার্যক্রম চালায়। সংবাদ পেয়ে ভাঁটিতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে তখন কাজ চলছিল না। মালিক পক্ষকে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। যে কারণে স্থানীয় বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে মালিক আমিরুল ইসলামকে গ্রেফতার এবং ভাঁটির যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।
×