মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইরানের প্রভাব বিস্তার ও দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচীর লাগাম টেনে ধরার বিনিময়ে দেশটিকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে ইউরোপ, চীন ও রাশিয়ার কূটনীতিকরা। এর মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি রক্ষা করার আশা করছেন তারা। রবিবার এমন একটি খবর প্রকাশ করেছে জার্মানির পত্রিকা। খবর ইয়াহু নিউজের।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর লাগাম টেনে ধরতে ২০১৫সালে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের একটি চুক্তি হয়েছে। ওই চুক্তিতে তাদের ওপর আরোপিত জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা ক্রমান্বয়ে তুলে নেয়ার বিপরীতে পারমাণবিক কর্মসূচী সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল ইরান। তবে আট মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান পারমাণবিক চুক্তি নামে পরিচিত ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। এতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আসছে সপ্তাহে ইউরোপ, চীন ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিক হেলগা স্মিডের নেতৃত্বে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠকে মিলিত হবেন বলে ইইউয়ের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে বলে জার্মান পত্রিকা ভেট আম জোনটাগ জানিয়েছে। বৈঠকে জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া ও চীনের যোগ দেয়ার কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র অংশ নিবে না বলে জানিয়েছে জোনটাগ। তবে এ বৈঠকে ইরান অংশ নিবে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
ইরান পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান অভিযোগ ছিল যে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীকে এ চুক্তির আওতায় আনা হয়নি এবং মধ্যপ্রাচ্যের যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে পশ্চিমা দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে সেসব গোষ্ঠীকে ইরানের সমর্থনের বিষয়টিও এতে বিবেচনা করা হয়নি। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, পারমাণবিক চুক্তি অক্ষুন্ন রেখে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের উদ্যোগ ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তেহরানের তৎপরতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার বিষয়ে একটি চুক্তি করা গেলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে রাজি করানো যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
